সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মাটি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতার প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনেই মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আটটি চিতা ছাড়া হয়। জানা গিয়েছে, জানুয়ারির মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে একডজন চিতা ভারতে এসে পৌঁছবে। ইতিমধ্যেই সেদেশের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ১২টি চিতাকে ভারতে আনা হবে। এই বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। একসঙ্গে ১২টি চিতাকে নিয়ে আসা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারত একেবারে প্রস্তুত রয়েছে। সাতটি পুরুষ ও পাঁচটি মহিলা চিতাকে ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ আধিকারিকদের সম্মেলনে একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করা হয়েছিল কুনো জাতীয় উদ্যানের তরফে। সেখানেও বলা হয়েছে, ১২টি চিতাকে দেখাশোনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে উদ্যানের কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: মাথায় হাত মধ্যবিত্তের! ২ বছরের রেকর্ড ভেঙে আরও মহার্ঘ্য সোনা]
১৯৪৭ সালে ভারতের শেষ চিতার মৃত্যু হয়। তারপর ৭৫ বছর ধরে ভারতের মাটিতে চিতার অস্তিত্ব ছিল না। গত ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) জন্মদিনে ‘প্রজেক্ট চিতা’র (Project Cheetah) সূচনা হয়। নামিবিয়ার উইন্ডহোক থেকে আটটি চিতাকে জয়পুরে নিয়ে আসা হয়। তারপর সেখান থেকে আকাশপথে পালপুর থেকে কুনোতে আনা হয় তাদের।মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে তাদের ছেড়েছেন মোদি নিজেই। উদ্দেশ্য একটাই, বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির পুনরাবির্ভাব ঘটানো।
ভারতের মাটিতে আফ্রিকার চিতারা মানিয়ে নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্ত যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভারতে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে চিতাগুলি।এনক্লোজার থেকে খোলা জঙ্গলে তাদের ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেরা শিকার ধরতে সক্ষম হয়। চিতল হরিণ শিকার করে দুটি চিতা–ফ্রেডি ও এলটন। এতে খুশি কুনো অভয়ারণ্যের বনকর্মীরা। শোনা যায়, আশা নামে একটি চিতা গর্ভবতীও হয়েছিল। তবে সরকারি ভাবে এই কথা জানায়নি কর্তৃপক্ষ।