বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলল NDA। এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৯ বিজেপি প্রার্থী নির্বাচিত হলেন। এছাড়াও আরও দুই NDA জোটসঙ্গী একইভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬, NDA-এর রাজ্যসভা মোট সদস্যের সংখ্যা হল ১১২। এছাড়াও শাসক দলের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৬ মনোনীত সদস্য এবং এক নির্দল সাংসদের। অর্থাৎ সব মিলিয়ে রাজ্যসভায় এনডিএ জোটের শক্তি বর্তমান 'ম্যাজিক ফিগার' ১১৯-এ পৌঁছে গেল।
এদিন যে ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের একজন কংগ্রেস প্রার্থী। এর ফলে বিরোধী সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫। উল্লেখ্য, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ২৪৫। যদিও বর্তমানে ৮টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি আসন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য এবং বাকি চারটি মনোনীত সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত। অর্থাৎ বর্তমানে রাজ্যসভার মোট আসন সংখ্যা ২৩৭। সেই কারণেই বর্তমান ম্যাজিক ফিগার ১১৯। ৯ বিজেপি প্রার্থী এবং দুই NDA জোটসঙ্গী প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় বর্তমান ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলল শাসক শিবির।
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখতে চাপ! বাইডেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক জুকারবার্গ]
মঙ্গলবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন দুই এনডিএ শরিক NCP এবং রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চের প্রার্থীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, এর পরেও রাজ্যসভায় বিল পাশে গেরুয়া শিবির এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারবে না। প্রথমত, কাশ্মীর থেকে বিরোধী প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে এলে পালটে যাবে অঙ্ক। দ্বিতীয়ত, গেরুয়া শিবিরের শরিক নির্ভরতা কাটছে না কোনওভাবেই। বর্তমানেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির কাছে নেই, রয়েছে NDA জোটের কাছে। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতার মতো বিল আটকে যেতেই পারে সংসদের উচ্চকক্ষে।