নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বাদল অধিবেশনে (Monsoon Session) হট্টগোলের জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল মোট ১২ জন সাংসদকে। এদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুই রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen) এবং শান্তা ছেত্রী (Shanta Chetri)। এছাড়াও রয়েছেন ৬ কংগ্রেস সাংসদ, এক সিপিএম সাংসদ, এক সিপিআই সাংসদ, এবং দু’জন শিব সেনা সাংসদ।
সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষদিন পেগাসাস (Pegasus) ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। সরকারপক্ষ তখন থেকেই এই সাংসদদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই অভিযুক্ত ১২ সাংসদের শাস্তির দাবিতে প্রস্তাব আনে সরকার পক্ষ। সেই দাবি মেনেই ১২ জন সাংসদকে গোটা শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল।
[আরও পড়ুন: Farm Laws: অনুপস্থিত কংগ্রেস-তৃণমূল, আলোচনা ছাড়াই সংসদে পাশ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল]
সাসপেন্ড হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী এবং দোলা সেন। কংগ্রেসের ৬ সাংসদ ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, রিপুন বরা, রাজমণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হোসেন এবং অখিলেশ প্রসাদ সিংকেও গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন শিব সেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং অনিল দেশাই, সিপিএমের (CPM) ই করিম এবং সিপিআইয়ের (CPI) বিনয় বিশ্বম। শীতকালীন অধিবেশনে কোনও বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এই ১২ জন।
[আরও পড়ুন: Parliament Session: সংসদে ঐক্য থাকবে, তবে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী নয় তৃণমূল, স্পষ্ট করে দিলেন ডেরেক]
বস্তুত এভাবে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা একেবারেই নতুন কিছু নয়। গত বাদল অধিবেশন থেকেই বিরোধী সাংসদদের আন্দোলন দমন করতে সাসপেনশনকে হাতিয়ার করে চলেছে সরকারপক্ষ। এর আগে লোকসভার (Lok Sabha) বহু সাংসদকে হট্টগোলের জন্য সাসপেন্ড হতে হয়েছিল। রাজ্যসভাতেও বিরোধী সাংসদদের একাধিকবার সাসপেন্ড করেছে সরকার। তৃণমূলের যে দু’ জন সাংসদ শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) জন্য সাসপেন্ড হলেন, তাঁরাও বাদল অধিবেশন চলাকালীন সাসপেনশনের শিকার হয়েছেন। এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে বিরোধীরা যে ক্ষুব্ধ হবেন, সেটা বলাই বাহুল্য।