সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘প্রেমে’র পরিণতি খুন! মহারাষ্টের (Maharashtra) থানের এক ১২ বছরের কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক যুবক। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মায়ের সামনেই ওই কিশোরীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন অভিযুক্ত। এর পর ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। যদিও বেঁচে যান। বর্তমানে হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ বছরের অভিযুক্ত যুবকের নাম আদিত্য কাম্বলে। কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল নাবালিকা। বিষয়টি পরিবার এবং প্রতিবেশীরাও জানত। তাদের অভিযোগ, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরেও কিশোরীকে উত্যক্ত করছিল আদিত্য। প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরীর বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছিল যুবক। কোচিং সেন্টার থেকে মায়ের সঙ্গে ফেরার সময় পথ আটকায় সে।
[আরও পড়ুন: মার্কিন ফৌজে ‘কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ’ কাঁটায় আমেরিকাকে বিঁধল কিমের দেশ]
এর পর ধারাল ছুরি নিয়ে হামলা পড়ে কিশোরীর উপরে। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তাকে। কিশোরীর মা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আদিত্য। তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকেরা ছুটে আসেন। যদিও অভিযুক্ত যুবককে ধরা যায়নি। পুলিশের দাবি, আটবার কোপানো হয় কিশোরীকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হলেও বাঁচানো যায়নি।
[আরও পড়ুন: আসরে ‘উদ্বিগ্ন’ আমেরিকা, গির্জা ধ্বংসে পাকিস্তানকে একহাত নিল ওয়াশিংটন]
খবর পেয়ে স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আদিত্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতাল ভরতি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।