সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিন। আগে বিষয়টির প্রতি সেভাবে নজর না দিলেও এখন তাদের মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও তার সহযোগী দেশগুলি। শুক্রবার তার অঙ্গ হিসেবে ভারত মহাসাগরে ১২০টির বেশি রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)।
গ্লোবাল ডায়লগ সিকিউরিটি সামিটে ভাষণ দিতে গিয়ে এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশই অর্থনৈতিক স্বার্থে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে চাইছে। তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন পরিকাঠামোও। ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে প্রায় সমস্ত দেশই নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে একে অপরের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। আর তাই ইন্দো-স্পেসিফিক রিজিয়নে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুধাবন করে সেখানকার বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য করার জন্য ভারত মহাসাগরের ১২০টির বেশি রণতরী মোতায়েন করেছে বিভিন্ন দেশ।’
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়েছে’, ইউপিএ চেয়ারম্যান পদে শরদ পাওয়ারকে সমর্থন শিব সেনার]
‘কনটেস্টিং দ্য ইন্দো স্পেসিফিক ফর গ্লোবাল ডমিনেশন (Contesting the Indo Pacific for Global Domination)’ শীর্ষক ওই আলোচনা অংশ নিয়ে চিনের তুমুল সমালোচনা করেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS)। বলেন, ‘গত কয়েক বছরে চিনের অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য চিনের ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা দেখে প্রস্তুতি নিয়েছে অন্যরাও। তাই ভারত-সহ অনেক দেশ বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য করার জন্য ভারত মহাসাগরে ১২০টির বেশি রণতরী মোতায়েন করেছে। এর ফলেই শান্তির পরিবেশ বজায় রয়েছে এই এলাকায়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে ভারতের সঙ্গে চিনের বিবাদ আরও বেড়েছে। সেই কারণে ভারত মহাসাগরে রণতরী মোতায়েন করার বিষয়টিকে সোজাভাবে দেখছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন।