সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচিং সেন্টারের দুর্ঘটনায় তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরে তোলপাড় গোটা দেশ। তার পরেই দিল্লিজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হল ১৩টি বেআইনি কোচিং সেন্টার। দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওল্ড রাজিন্দর নগরের ওই ১৩টি বেআইনি কোচিং সেন্টার নিয়মবিরুদ্ধভাবে চালানো হচ্ছিল। রবিবার রাতেই সেই কোচিং সেন্টারগুলোর দরজা সিল করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকে গোটা দিল্লি (Delhi)। ঠিক কী হয়েছিল? পশ্চিম দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে ‘রাও’স আইএএস স্টাডি সার্কল কোচিং সেন্টার’। সেখানে বহু পড়ুয়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। বেসমেন্টে রয়েছে কোচিং সেন্টারের লাইব্রেরি। সেখানেই পড়াশোনা করছিলেন কয়েকজন। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, আচমকাই বেসমেন্টে জল ঢুকতে শুরু করলে জলমগ্ন হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও শেষপর্যন্ত জলে ডুবে মারা যান তিন পড়ুয়া।
[আরও পড়ুন: প্রদেশ সভাপতি থেকে সংগঠন, বঙ্গে কোন পথে চলবে কংগ্রেস? দিল্লিতে বৈঠকে বসছে হাইকমান্ড]
এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোচিং সেন্টারের মালিক ও কোঅর্ডিনেটরকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মেধাবী পড়ুয়াদের এমন মর্মান্তিক পরিণতির জন্য গোটা সিস্টেমকেই দায়ী করেছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, "পরিকাঠামোর এমন ধস আসলে সিস্টেমের যৌথ ব্যর্থতা। নিরাপদ ও সুখকর জীবন প্রতিটি নাগরিকের অধিকার এবং সরকারের দায়িত্ব।”
তার পরেই বেআইনি কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে নড়েচড়ে বসেছে দিল্লির প্রশাসন। শহরের মেয়র শৈলি ওবেরয় বলেন, "আমরা খবর পেয়েছি যে নিয়মবিরুদ্ধভাবে বেসমেন্টে ওই কোচিং সেন্টারগুলো পরিচালনা করা হত। তবে এখন সেগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলোকে আলাদা করে নোটিসও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।" বন্ধ হয়ে যাওয়া কোচিং সেন্টারগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি নামী সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, বেসমেন্টে কেবল গাড়ি পার্ক করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বদলে লাইব্রেরি থেকে শুরু করে ক্লাসরুম, সমস্তই তৈরি করা হয়েছিল বেসমেন্টে।