সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ধরে বাড়িওয়ালার যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল বছর তেরোর এক কিশোরী। তাই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে বাড়িওয়ালাকে খুন করার ছক কষে ফেলেছিল ওই নাবালিকা। আর পরিকল্পনা মতোই ওই ব্যক্তিকে হত্যাও করে ফেলে দুজনে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুজন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে উত্তরপ্রদেশের ওয়াজিরগঞ্জে খুন হন শ্যামচন্দ্র গুপ্ত নামে বছর ছাপ্পান্নর এক প্রৌঢ়। ওই এলাকার একটি নর্দমা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই থেকেই এই ঘটনার তদন্ত করছিল পুলিশ। তার পর একের পর এক সূত্র ধরে ওই দুজনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে সমস্ত কথা স্বীকার করে নেয় ওই নাবালিকা ও তার উনিশ বছরের প্রেমিক। পুলিশের কাছে ওই কিশোরী জানিয়েছে, বহুদিন ধরে তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন শ্যামচন্দ্র। ঘন ঘন তার ঘরেও আসতেন। দিনের পর দিন ওই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একদিন সমস্ত কথা সে তার প্রেমিক বান্টি কাশ্যপকে জানায়। তার পরই দুজনে এই খুনের ছক কষে ফেলে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকা শ্যামচন্দ্রের ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে। তার পর চাদরে মুড়িয়ে বাড়ির পিছনের নর্দমায় ফেলে দেয়। অভিযুক্তদের থেকে খুন করার অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদেরকে কোর্টে তোলা হবে।