সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে নৌসেনার স্পিডবোটের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। বুধবারের দুর্ঘটনার তদন্তে নিরাপত্তায় গাফিলতির বড়সড় অভিযোগ উঠছে। সমস্ত যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি, জানাচ্ছেন যাত্রীদের অনেকেই। অন্যদিকে দুর্ঘটনার জেরে নৌসেনার স্পিডবোট চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মম্বইয়ের সাকিনাকা এলাকার বাসিন্দা নাথারাম চৌধুরী দুর্ঘটনাগ্রস্তে লঞ্চে ছিলেন। আহত হলেও বেঁচে যান তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা গৌতম গুপ্ত পরিবার-সহ মুম্বইয়ে ঘুরতে এসেছিলেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে গৌতমের কাকিমার। তিনি অভিযোগ করেন, "কারও পরনে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। স্পিডবোট ও লঞ্চের সংঘর্ষের পর আমরা যাত্রীরাই অন্য যাত্রীদের জল থেকে টেনে তুলি। ২০-২৫ মিনিট পর নৌসেনা উদ্ধারকাজ নামে। আমরা কাকিমাকে হারিয়েছি।"
বুধবার গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। সেখানে দেখা গিয়েছে, তীব্র গতিতে ছুটে আসা স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারছে লঞ্চে। এর পরেই কাত হয়ে জলে ডুবে যায় সেটি। নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পিডবোটের ইঞ্জিনে গোলমালের জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। লঞ্চে ছিলেন ১১০ জন যাত্রী। উদ্ধারকাজে নামে স্থানীয় মাছ ধরার লঞ্চ, নৌসেনার ১১টি বোট এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী।পরে চারটি হেলিকপ্টারও উদ্ধারকাজে যোগে দেয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এদের ১২ জন লঞ্চযাত্রী এবং একজন নৌসেনা আধিকারিক।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ ও জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আহতদের আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।