শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: করোনার মাঝে নয়া আতঙ্ক। জ্বরে (Fever) আক্রান্ত জলপাইগুড়ি শতাধিক শিশু। জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ১৩০ জন শিশু। রবিবার সংখ্যাটা ছিল ১২৬। এদিকে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে উপচে পড়ছে অসুস্থ শিশুর ভিড়। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সোমবার সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে যান জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। কথা বলেন অসুস্থ শিশুদের মায়েদের সঙ্গে। ঠিক কী কী উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, হাসপাতালে কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে কথাবার্তা বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়েতে আপত্তি, প্রতিশোধ নিতে যৌনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে শাশুড়িকে খুন জামাইয়ের]
জেলাশাসক জানান, হাসপাতালের তরফে শিশুদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। অসুস্থ শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলার বেশ চিন্তিত সকলেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। যাতে অসুস্থ কোনও শিশু ভরতি হতে এসে ফিরে না যায় তাই বাড়ানো হচ্ছে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা। জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নতুন করে ৪০টি বেড বাড়ানো হচ্ছে। অসুস্থ শিশুদের আরও ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থায় পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিট (PICU) চালুর বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান জেলাশাসক।
করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ব্যাপকতা কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এবার আশঙ্কা তৃতীয় ঢেউয়ের। অনেকেই মনে করছেন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। যদিও তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এই আশঙ্কার মাঝে জলপাইগুড়িতে অজানা জ্বরে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই। কী কারণে জ্বরে ভুগছে শিশুরা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।