সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন (China) ও ভারতের কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। এটা দু’দেশের মধ্যে ১৩তম বৈঠক। রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া লাদাখের (Ladakh) চুসুল-মলডো সীমান্তে এই উচ্চস্তরীয় বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করা হচ্ছে, পূর্ব লাদাখের সংঘর্ষপূর্ণ এলাকাগুলি থেকে সেনা সরানো নিয়ে নতুন করে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এখন দেখার ওই বৈঠক থেকে নতুন করে কোনও আশার আলো উঠে আসে কিনা।
ভারত ও চিনের মধ্যে সামরিক স্তরে একের পর এক বৈঠকের পরেও রফাসূত্র অধরাই থেকে গিয়েছে। বারবার সীমান্তে সেনা সরানো ও শান্তিপ্রক্রিয়ার যাবতীয় আলোচনা সত্ত্বেও চিন কথা রাখেনি। বারবার আগ্রাসন দেখানোর অভিযোগ উঠেছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই স্থিতাবস্থা ফেরানো নিয়ে সমস্যা রয়েই গিয়েছে। গতকালই ভারতীয় সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, যদি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চিন সেনা না সরায়, তা হলে ভারতও সেনা সরাবে না। আসলে কয়েকদিন আগে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল ২০০ চিনা সেনা। সেই প্রসঙ্গেই নারাভানের হুঁশিয়ারি। রবিবারের বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো তথ্য ছড়ায়, ফেসবুক গণতন্ত্রের বিপদ’, তোপ নোবেলজয়ী সাংবাদিকের]
গত বছর জুন-জুলাই মাস নাগাদ লাদাখ সীমান্তে একাধিকবার উসকানিমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে। এমনকী, তাদের আগ্রাসন রুখতে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান। এর পর থেকেই লাদাখ সীমান্ত সুরক্ষায় আরও বেশি জোর দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)।
পাশাপাশি বেজিংয়ের সঙ্গে বারবার আলোচনা হয়েছে সেনা সরানোর বিষয়টি নিয়ে। তবে একাধিক বৈঠকের কিছু সুফলও মিলেছে। পূর্ব লাদাখের গোগরা, প্যানগং, হট স্প্রিং এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই সেনা সরিয়ে নিয়েছে দু’পক্ষ।