সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়াদের আন্দোলন ঘিরে কিছুদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। কখনও আন্দোলনকারীদের পরাস্ত করতে ছুটেছেন উর্দিধারীরা। পুলিশের গুলিতে প্রাণও গিয়েছে। আবার পালটা পুলিশের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। রবিবার ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ওপার বাংলায়। তার মধ্যে এনায়েতপুর থানারই ১৪ পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, প্রাণ বাঁচাতে ঘাতকদের সামনে আত্মসমপর্ণ করতে চেয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের কাতর আর্জিতে সাড়া দেয়নি কেউ। পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে একই থানার ১৪ পুলিশ কর্মীকে।
গণভবনে আগুন বিক্ষোভকারীদের
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুটি মিছিল জড়ো হয় এনায়েতপুর থানার সামনে। মিছিল থেকে থানা লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পরস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশকর্মীরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ছোড়া হয় রবার বুলেট। সেই সময় থানায় ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুর আলম। তাঁর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলার সময়ে ৪০ জন পুলিশকর্মী থানায় ছিলেন। একটা সময়ে তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে আত্মসমপর্ণ করতে চান। কিন্তু হামলাকারীরা কোনও কথা শোনেনি। সেই সময় পুলিশ কর্মীরা বিভিন্ন দিকে পালান।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। জ্বলছে মাশরাফির বাড়ি।
[আরও পড়ুন: কী হয়েছিল বাংলাদেশে? রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের দাবি ব্রিটেনের]
কেউ থানার ছাদে, কেউ জলের ট্যাঙ্কের পিছনে, কেউ আবার আশেপাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এদিকে থানার ভিতরে রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালায় হামলাকারীরা। এর পর আশপাশ থেকে খুঁজে বের করা হয় পুলিশ কর্মীদের। রীতিমতো বের করে করে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। পুলিশকর্মীদের আশ্রয়দাতা একজন জানান, যাতে চিনতে না পারে হামলাকারীরা তাই পোশাকও বদলেছিল পুলিশ। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। পিটিয়ে খুন করা হয় উর্দিধারীদের।