সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতি দাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে ঘরছাড়া ১৪ হাজারেরও বেশি স্কুল পড়ুয়া। রাজ্যসভায় এই তথ্য পেশ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী।
বুধবার রাজ্যসভার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অন্নপূর্ণা দেবী জানান, “মোট ১৪ হাজার ৭৬৩ জন স্কুল পড়ুয়া মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতির কবলে পড়ে ঘরছাড়া। প্রতিটি ক্যাম্পে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে গৃহহীন পড়ুয়াদের স্কুলে ভরতির বিষয়ে তদারকির জন্য।” তিনি আরও জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত ৯৩.৫ শতাংশ পড়ুয়াকে কাছাকাছি কোনও স্কুলে নিখরচায় ভরতি করানো হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘সকলকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব না’, অগ্নিগর্ভ হরিয়ানায় বিতর্ক বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী খট্টর]
উল্লেখ্য, কুকি-মেতেই জাতি হিংসায় জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। গত ৩ মার্চ ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল এই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত দেড়শোর উপর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু। ঘর ছাড়া লক্ষাধিক। হিংসা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে মণিপুর ও কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে শান্তি ফেরানোর দাবিতে কেন্দ্রকে বারে বারে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। উত্তাল হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশনও। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে লোকসভায়। আগামী ৮ আগস্ট থেকে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। ১০ আগস্ট বিবৃতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী।