সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমরনাথ গুহার কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শনিবারও চলছে উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার পুণ্যার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও ৪০ জনের হদিশ মেলেনি। বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমেছে আইটিবিপির (ITBP) জওয়ানরাও। পুণ্যার্থীদের উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কালীমাতা ও অমরনাথ (Amarnath Yatra) গুহার মাঝখানে ঘটনাটি ঘটেছে। কাতারে কাতারে যেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। শুক্রবার আচমকা মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের অন্তত ২৫টি ক্যাম্প। উদ্ধারকাজ শুরু করে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর দল। শনিবার সকালে শ্রীনগর থেকে উদ্ধারকাজের জন্য উড়ে যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার Mi-17 হেলিকপ্টারের। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা সময়ে রওনা দিতে পারেনি। তবে নীলগ্রর, বালটাল এলাকায় যেখানে পুণ্যার্থীরা আটকে পড়েছেন, সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন জওয়ানরা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বর্তমানে এনডিআরএফ-এর তিনটি দলও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: জল্পনাতেই সিলমোহর, বাংলা ছেড়ে ক্রিকেটার ও মেন্টর হিসেবে ত্রিপুরাতে সই ঋদ্ধিমানের]
গতকাল বিকেল ৫.৩০ মিনিট নাগাদ অমরনাথ গুহার কাছে আচমকা মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়। ফলে পাহাড় থেকে প্রবল বেগে নেমে আসে বিপুলাকৃতি জলের ধারা। নিরাপদ আশ্রয় পাওয়ার পর নিজেদের ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন পুণ্যার্থীরা। একজনের কথায়, “মেঘ ভাঙা বৃষ্টির দশ মিনিটের মধ্যে আটজনের মৃত্যুর খবর জানতে পারি। জলের তোড়ে ভেসে আসছিল বড় বড় পাথর। লঙ্গরখানার মধ্যেও ঢুকে পড়ে কাদা মাটি। রীতিমতো ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাচ্ছিলেন। তাঁরাও এই পরিস্থিতির শিকার হন।”
নোডাল মেডিক্যাল অফিসার জানান, এই ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। ১০ জন আহতের মধ্যে মাথায় আঘাত লেগেছে দু’জনের। পাঁচজনের ফ্র্যাকচার হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার দরুণ আপাতত পায়ে হেঁটে তীর্থযাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। যাঁরা এখনও পৌঁছতে পারেননি, তাঁদের বালটালের বেস ক্যাম্পে থাকতে বলা হয়েছে।