shono
Advertisement

Breaking News

পরিবারের ১৫ সদস্যই করোনা আক্রান্ত, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী একা কোভিড নেগেটিভ

দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তাও।
Posted: 07:26 PM Jan 09, 2022Updated: 10:32 PM Jan 09, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রনের (Omicron) দাপটে দুই সপ্তাহে বদলে গিয়েছে দেশের করোনা (Covid) চিত্র। সংক্রমণ লাখের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর। তবে কোনটা সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা আর কোনটা করোনা, আরটি পিসিআর (RT-PCR) টেস্ট ছাড়া তা বোঝা সম্ভব না। এই পরিস্থিতিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ঢুকে পড়ল করোনা। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (CM Hemant Soren) বাসভবনে ১৫ জন সদস্যই কোভিডে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তাও (Banna Gupta) দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি।  

Advertisement

সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী কল্পনা সোরেন, তাঁর দুই পুত্র নীতিন এবং বিশ্বজিৎ, শ্যালিকা সরলা মুর্মু, তাঁর দেহরক্ষী-সহ ১৫ জনের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে, খোদ হেমন্ত সোরেনের এযাত্রায়  রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

[আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধি ১১৫ শতাংশ! করোনার জোরাল কামড় বাংলাদেশে]

সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাসভবনের ৬২ জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়। শনিবার ২৪ জনের রিপোর্ট আসার পর দেখা যায়, তাদের ১৫ জন করোনা আক্রান্ত। তবে আক্রান্ত হলেও সকলেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে। আপাতত প্রত্যেকেই নিভৃতবাসে থাকছেন।

অন্যান্য রাজ্যের মতো ঝাড়খণ্ডেও করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এমনকী ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তাও কোভিডে আক্রান্ত। তিনি বর্তমানে জামশেদপুরে নিজের বাসভবনে নিভৃতবাসে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও করোনা আক্রান্ত হন ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর কাছে যাঁরা এসেছেন তাঁদেরকে নিভৃতবাসে থাকতে বলেছেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, শনিবার ঝাড়খণ্ডে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৮১ জন। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের খবর মেলেনি।

[আরও পড়ুন: একের পর এক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত, প্রশ্নের মুখে SSKM হাসপাতালের RT-PCR টেস্ট পরিষেবা!]

এদিকে বাংলাতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।  স্বাস্থ্য ভবনের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৭। তবে এদিনই কল্যাণীর জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে যে তথ্য এসেছে তাতে নড়েচড়ে বসেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যত নমুনা পাঠানো হয়েছিল তার মধ্যে সিংহভাগ অর্থাৎ ৭১.৩ শতাংশেরই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তুলনায় ডেল্টা অর্থাৎ গত দু’টি ঝড়ে যে ভ্যারিয়েন্ট পশ্চিমবঙ্গ—সহ গোটা দেশকে টালমাটাল করেছিল, সেই ডেল্টা মাত্র ৩.৭ শতাংশ নমুনায় পাওয়া গিয়েছে। উদ্বেগের আরও একটি কারণ রয়েছে। প্রায় ৬.৭ শতাংশ নমুনা করোনা পজিটিভ যেগুলির ভাইরাস ঠিক কোন ভ্যারিয়েন্টের তা ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় চিহ্নিত করা যায়নি। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement