নন্দন দত্ত, রামপুরহাট: রামপুরহাট থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। গতকাল রাতে একটি ট্রাক আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাতেই বেরিয়ে পড়ে ওই ৩২০ বস্তা বিস্ফোরক। ঘটনায় এখনও অবধি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারণে অত পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কোনও নাশকতার ছক কি কষা হচ্ছিল? সেই প্রশ্ন উঠছে। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১০টা নাগাদ রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তায় মুনসুবা মোড় এলাকায় একটি ট্রাককে আটকানো হয়। পুলিশের কাছে আগেই গোপন সূত্রে খবর থাকায় নাকাচেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই ট্রাকটি থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৩২০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এক একটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি। মোট ১৬ হাজার কেজি বিস্ফোরক ট্রাক থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আটকের পর শুরু হয় গাড়ির চালক ও খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ। ওই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কোনও বৈধ কাগজপত্র তাঁদের কাছে পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, তাঁদের কথাতেও বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বোঝাই ট্রাক তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলা থেকে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের সিরশিয়া যাচ্ছিল।
জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে ওই বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তারও সন্ধান চলছে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাপা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সাধারণত এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট চাষের কাজে ব্যবহার হয়। আবার নাশকতার ক্ষেত্রে আইডি তৈরির কাজেও ব্যবহার হয়। এই বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কি চাষের কাজে ব্যবহার হত? তাহলে কেন কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না? তাহলে কি নাশকতার ছক করা হচ্ছে? বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
