সুমন করাতি, হুগলি: পরকীয়ার কথা জেনে গিয়েছিলেন স্বামী! প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরা থানা এলাকায়। স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রসেনজিৎ দাস। বয়স ৩৪। তিনি মগরা থানা এলাকার কুন্তীঘাট বিসপাড়ার বাসিন্দা। প্রায় ১৪ বছর আগে সোদপুরের যুবতীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দম্পতির এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। প্রসেনজিৎ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁর স্ত্রী কাজ করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে। অভিযোগ, প্রসেনজিতের স্ত্রী স্বামীর এক বন্ধু, বলাগড়ের বাসিন্দা সুব্রত ভদ্রের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তা জানতে পেরে যান প্রসেনজিৎ। স্ত্রীকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বললেও তিনি শোনেনি বলে দাবি।
এর মাঝেই গতকাল শনিবার রাতে মত্ত অবস্থায় প্রসেনজিতের বাড়িতে যান অভিযুক্ত সুব্রত ভদ্র। খোঁজ করেন প্রসেনজিতের। তিনি বাড়িতে না থাকায় প্রসেনজিতের মা তাঁকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এর মাঝেই বাড়িতে আসেন প্রসেনজিৎ। সেই সময় তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, সেই সময় প্রসেনজিতের উপর হামলা করেন সুব্রত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসেনজিতের দিদি বলেন, "আমার বউদির সঙ্গে সুব্রত ভদ্রের সম্পর্ক ছিল। দাদা বারণ করলেও শোনেনি। ওরা দু'জনে পরিকল্পনা করে আমার দাদাকে খুন করেছে। দু'জনের শাস্তি চাই।" স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রতিমা রায় বলেন, "কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে শুনেছি প্রেমের সম্পর্কের কারণে এই কাণ্ড। যুবতী পঞ্চায়েতে কাজ করেন। যা হয়েছে খুব খারাপ। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।"
