নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন বিপত্তি। জ্ঞান হারাল একে একে মোট ১৭ জন ছাত্রী। বীরভূমের লাভপুর থানার হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। তাদের কেউ কেউ লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও কয়েকজন সিউড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি। ঠিক কী কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ল ছাত্রীরা, তা এখনও জানা যায়নি।
অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সকালেও নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় লাভপুর থানার হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রার্থনা। ছাত্রীরা প্রার্থনা করতে শুরু করে। আচমকাই এক ছাত্রী অচৈতন্য হয়ে পড়ে। একে একে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মোট ১৭ জন পড়ুয়া অজ্ঞান হয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও কিছুজনকে সিউড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্রত্যেকের চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: বিহার থেকে গ্রেপ্তার তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি]
স্কুলের আশেপাশে নেই কোনও কলকারখানা। তার ফলে কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে ঠিক কী কারণে ১৭ জন পড়ুয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এক শিক্ষক জানান, প্রার্থনা চলাকালীন প্রথমে একজন পড়ুয়া জ্ঞান হারায়। সে জানায় স্কুলে আসার সময় বাড়ি থেকে কিছু খেয়ে আসেনি। তবে বাকিরা কিছুই বলতে পারছে না। ছাত্রীদের পরিবারের লোকজনও অচৈতন্য হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ মণ্ডল বলেন, “খবর পেয়ে স্কুলে আসি। সকলকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়।”
চিকিৎসকদের কেউ কেউ মনে করছেন, যারা অজ্ঞান হয়েছে তারা হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত। হিস্টিরিয়া থাকলে প্রায়ই অতিরিক্ত ভয় পেয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু একজন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে তাই ভয়ে অন্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে।