সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারিবারিক ফতোয়া উপেক্ষা করে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে অবাধ মেলামেশা। প্রাণের বিনিময়ে তার খেসারৎ দিতে হল মহারাষ্ট্রের বছর সতেরোর কিশোরীকে। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে মেয়েকে খুন করেছেন বাবা৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃত আরও ২জন৷
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস প্রার্থী উর্মিলার নাম-ধর্ম বদল উইকিপিডিয়ায়! বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ]
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৬ মার্চ৷ মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার ৬০ কিলোমিটার ভিতরে চণ্ডীগ্রাম এলাকায় এক কিশোরীর দগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকারই একজন। খবর দেওয়া হয় জামখেড় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
এরপরই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। জানা গিয়েছে, দিনের অধিকাংশ সময়ে মোবাইল ফোনেই ব্যস্ত থাকতেন ওই কিশোরী। মূলত, এক পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে অবাধ মেলামেশা ছিল তার। জানা গিয়েছে, প্রথম থেকেই তাতে আপত্তি ছিল কিশোরীর বাবা পানদুরাঙ শ্রেরাঙ্গ সেগান্দের। বাবার আপত্তি সত্ত্বেও যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্বে কোনও ভাঁটা পড়েনি ওই কিশোরীর। এই নিয়ে বাবা-মেয়ের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বচসা তীব্র আকার নিলে চণ্ডীগ্রামের বাড়িতেই নিজের মেয়েকে খুন করেন ওই ব্যক্তি।
[আরও পড়ুুন: ফের দুর্ঘটনা, রাজস্থানের যোধপুরে ভেঙে পড়ল মিগ-২৭ যুদ্ধবিমান]
জানা গিয়েছে, এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য কিশোরীর দুই মামার সহযোগিতায় বাড়ির কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে কিশোরীর দেহটি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এর পরের দিন অভিযুক্তরাই জামখেড় থানায় কিশোরীর নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছিল পুলিশ।
২৬ শে মার্চ দেহটি উদ্ধারের পর বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রহস্য ভেদ করে পুলিশ। ওই কিশোরীর বাবা ও দুই মামা রাজেন্দ্র জগন্নাথ সিন্দে ও ধ্যানদেব জগন্নাথ সিন্দেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার পানদুরাঙ পাওয়ার জানিয়েছেন, সম্ভবত পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে কিশোরীকে খুন করা হয়েছে৷ ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বাবা এবং দুই মামার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলছেন প্রতিবেশীরা৷
The post পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে মেলামেশা, কিশোরীকে খুনের অভিযোগে ধৃত বাবা-সহ ৩ appeared first on Sangbad Pratidin.