সুকুমার সরকার, ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনরফা চূড়ান্ত করে ফেলল আওয়ামি লিগ৷ বিএনপিকে কোণঠাসা করতে ও জোটের মনোবল বাড়াতে শরিক দলগুলির জন্য ৭০টি আসন ছাড়ার কথা ঘোষণা করল বাংলাদেশের শাসকদল৷
[নির্বাচনে খালেদাপুত্র তারেকের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলল আওয়ামি লিগ]
আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জোটসঙ্গীদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। রবিবার সচিবালয়ে তিনি জানান, শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, যুক্তফ্রন্টের বিকল্প ধারা এবং কিছু ইসলামপন্থী দল আওয়ামি লিগের জোটসঙ্গী। তাদের কথা মাথায় রেখে এবং প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বিচার করে ৭০টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এদিকে রবিবার থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেছে খালেদা শিবির৷ ইতিমধ্যেই রংপুর বিভাগে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি-র সংসদীয় বোর্ড। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সাক্ষাৎকারে যোগ দেন।
এদিকে নির্বাচন ঘিরে ক্রমেই বাংলাদেশে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরস্থিতি৷ তুঙ্গে পৌঁছেছে শাসক-বিরোধী তরজা৷ প্রথম দিকে নির্বাচন বয়কট করার ডাক দিয়েও ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ তবে নেত্রী বেগম জিয়া জেলে থাকায় কিছুটা ব্যাকফুটে তারা৷ তবে জেলে থাকলেও ‘পাকপন্থী’ জিয়ার প্রভাব রয়েছে বিস্তর৷ বিশেষ করে জামাতের মতো মৌলবাদী দলগুলি বিএনপি-র সমর্থনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে৷ ফলে নির্বাচনে হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিশানা করা হয়ে পারে৷ কারণ বাংলাদেশি হিন্দুদের বেশিরভাগই আওয়ামি লিগ সমর্থক৷ ফলে, এরাই জামাত-সহ অন্য উগ্রপন্থী সংগঠনরে সহজ টার্গেট হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন চলাকালীন সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবিতে পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছে একাধিক হিন্দু সংগঠন।
[নিজভূমে ফিরতে চাইছেন না আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা]
The post শরিকদের জন্য ৭০টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত আওয়ামি লিগের appeared first on Sangbad Pratidin.