অভিষেক চৌধুরী, কালনা: আধো-আধো বুলিতে শুধু বাংলা ভাষাই নয়, আরবি সুরাও উচ্চারণ করে সে। বিভিন্ন জীবজন্তু, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ইংরাজি-বাংলা মাসের নাম, জাতীয় প্রতীকের নাম-সহ ঝরঝরে কবিতা আবৃত্তি করে মাত্র আড়াই বছর বয়সেই বাজিমাত করল মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের আদিল রহমান। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে তাক লাগিয়ে দিল সে। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবার, গর্বিত এলাকার মানুষজন।
মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের আড়াই বছরে আদিল রহমান। খেলার ছলে মাত্র নমাস বয়স থেকেই মায়ের বইপড়া শুনে বেশকিছু জিনিসের নাম মুখস্থ করে ফেলে। বলতেও শুরু করে ঝটপট। বয়স বাড়তেই বইয়ে লেখা বিভিন্ন জিনিসের নামও শিখে ফেলে আদিল। ঝরঝর করে বলতে থাকে বাংলা মাস-সহ ছয় ঋতুর নাম। মুখস্থ করে ফেলে ইংরাজি ও বাংলা ছড়া-সহ জাতীয় প্রতীক, পশু-পাখির নামও। খুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ও মনযোগের পাশাপাশি তাঁর এই মুখস্থ বিদ্যা দেখে ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তোলার আগ্রহ তৈরি হয় ব্যবসায়ী বাবা হোসেনুর রহমান ও মা শাহিনা খাতুনের। গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে তাঁর পরিবার। কয়েকদিন পরেই তা নিশ্চিত হয়।
[আরও পড়ুন: করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত ২১, তড়িঘড়ি আসরে কেন্দ্র, রাজ্যগুলিকে বিশেষ নির্দেশিকা]
গত শনিবার ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’র শংসাপত্র-সহ মেডেল,বই ও অন্যান্য পুরস্কার আসে আদিলের বাড়িতে। তাই দেখে খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার। শিশুর মা শাহিনা খাতুন জানান,“খেলার ছলে ছেলে যাতে বই পড়ে সেজন্য বেশ কিছু বই ওর জন্য কিনে ফেলি। এর পর আমার পড়া শুনে ৯ মাস বয়স থেকেই আদিল শুনে শুনে মুখস্থ করে ফেলে অনেক কিছু। এর পর জাতীয় সঙ্গীত, মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম, পশু-পাখি, ছড়ার মত বিভিন্ন কিছু মুখস্থ করে ফেলে। এমনকী আরবি সুরা শুনেও ঠোটস্থ করে ফেলে। এই দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে আবেদন করার পর ছেলে সফলতা পায়।” খুদের এই সাফল্যে খুশি এলাকার মানুষজন। তারা জানান, এই বয়সে অনেক শিশু ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না। তাই আদিলের এই প্রতিভা সত্যিই বিস্ময়কর।