সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনে উত্তাল মুর্শিদাবাদ। আন্দোলনের নামে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি থেকে উর্দিধারীদের গাড়িতে আগুন, ট্রেন আটকে দেওয়া থেকে আজিমগঞ্জে রেল অফিসে ভাঙচুরও হয়েছে। এর নেপথ্যে কারা? উত্তর পেতে এনআইএ তদন্ত চেয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিলের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতার এই সক্রিয়তা দেখে তৃণমূলের অন্যকম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "এর নেপথ্যে বিজেপির কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।"

শনিবার এক্স হ্য়ান্ডেলে শুভেন্দু জানান, 'ওয়াকফ আন্দোলনের নামে মুর্শিদাবাদ উত্তাল হয়েছে। প্রতিবাদের নামে একাধিক রেল স্টেশনে ভাঙচুর হয়েছে। রেল স্টেশনের মতো সরকারি সম্পত্তিতে হামলা হয়েছে। এতে শুধু জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে তা নয় বরং মানুষের সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্যেও এই আচরণ বিপজ্জনক।' এর প্রেক্ষিতেই এনআইএ তদন্ত চেয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু।
যদিও তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষের কথায়, "কোনও প্রতিবাদ করা মানেই সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়, কোনও গাড়ি বা যান চলাচলের অসুবিধা হয়, বা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়, কোনও অবস্থাতেই এগুলো করা উচিত নয়। যারা কোনও কিছুতে ক্ষুব্ধ হয়ে এসব করছেন তাদের বলব এরনের কাজ করবেন না। এতে বিজেপির রাজনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে। বিজেপি নানা ধরনের এজেন্সি দিয়ে এগুলো করাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দেবেন না।"
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদ। প্রথমে জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে, এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকলেও শুক্রবার বিকেল থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে জনতা। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে। তাতে অবস্থা আরও বিগড়ে যায়। সরকারি-বেসরকারি বাস, অ্যাম্বুল্যান্স জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিএসএফ নামানো হয়। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরপরও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ।