shono
Advertisement

BJP’র সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে বাংলাকে গুরুত্ব! গুরুদায়িত্ব পেলেন রাজু বিস্তা

দুবরাজপুরের বিধায়ককে করা হয়েছে যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি।
Posted: 06:58 PM Jul 14, 2021Updated: 08:30 PM Jul 14, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিজেপির সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে (BJYM) কি গুরুত্ব বাড়ছে বাংলার? দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের পর মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন বাংলার চার সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গ, এমনকী, মতুয়া মহলের প্রতিনিধিরা মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। এবার যুব মোর্চার সংগঠনে গুরুত্ব পেলেন বাংলার আরও এক সাংসদ এবং এক বিধায়ক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন সাংসদ রাজু বিস্তা।

Advertisement

বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির যুব সংগঠন যুব মোর্চার তরফে টুইট করে সাংগঠনিক রদবদলের কথা জানানো হয়। সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে একাধিক নতুন মুখকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাংলার এক সাংসদ ও এক বিধায়ক অন্যতম। একজন দার্জিলিঙয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।  যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অপরজন হলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা। দার্জিলিংয়ের সাংসদকে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। আর দুবরাজের বিধায়ককে করা হয়েছে যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তবে রাজু বিস্তাকে যুবমোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দেওয়া রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

[আরও পড়ুন: কোভিড নিয়ে কড়া কেন্দ্র, ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক]

 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার রদবদলের পর থেকেই দার্জিলিংয়ের গোর্খাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। প্রশ্ন উঠছিল, কেন গোর্খা প্রতিনিধি হিসেবে রাজু বিস্তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল না? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিজের অসন্তোষ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বিজেপির টিকিটে জিতে আসা বিধায়ক নীরজ জিম্বা (Niraj Jimba)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে তাঁর অসন্তোষের মূল কারণ দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তাকে শামিল না করা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জিম্বা বলছেন,”মন্ত্রিসভার রদবদলে রাজু সিং বিস্তার মতো যোগ্য প্রার্থীকে বাদ রাখায় দার্জিলিংয়ের মানুষের মনে ক্ষোভ জমেছে। সেই ২০০৯ থেকে দার্জিলিং থেকে বিজেপি সাংসদ পাচ্ছে। রাজু সিং বিস্তা (Raju Singh Bista) এই এলাকায় উন্নয়নের কাজ করছেন। দার্জিলিং জেলার সবক’টি আসন তিনি BJP-কে জিতিয়েছেন। তাছাড়া তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলের আরও ১০টি আসনে তাঁর প্রভাব রয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ায় গোর্খারা হতাশ।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই ক্ষোভকে চাপা দিতেই এবার রাজু বিস্তাকে সাংগঠনিক গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল। এদিকে যখন উত্তরবঙ্গকে স্বাধীন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি উঠছে, ঠিক তখন রাজু বিস্তাকে যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। 

[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, রাজ্যসভায় BJP’র দলনেতা হলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল]

এদিকে অনুপ সাহা অনুব্রতর গড়ে গেরুয়া শিবিরকে জয়ের স্বাদ দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে কেন্দ্রীয় যুব সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে বীরভূমের মাটিতে বিজেপির সংগঠনকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করল বিজেপি বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলার এই দুই যুব নেতাকে সর্বভারতীয়স্তরে দলের যুব সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিলেন বাংলাকে দল বিশেষ নজরে দেখছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও দক্ষিণবঙ্গে বীরভূমে জেলা থেকে দুই জনপ্রতিনিধিকে দলের যুব সংগঠনের শীর্ষ কমিটিতে নিয়ে যাওয়া আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলায় বিজেপির যুব সংগঠনে রদবদলের জল্পনা চলছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement