রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বাংলার বকেয়া আদায়ে দিল্লিতে আন্দোলনে তৃণমূল। পালটা কলকাতায় বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রচারের আলোয় আসতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সারাদিন কার্যত লম্ফঝম্ফ করল বিজেপি। কখনও বিধানসভার পোর্টিকোতে বিক্ষোভ করলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। তো কখনও গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান করলেন তারা। মহিলা মোর্চার সেই ধরনায় গিয়ে ব্যাগ খোয়ালেন দুই বিজেপি বিধায়ক।
দুই বিধায়ক হলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা ও কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস। ব্যাগে নগদ অর্থ ছাড়াও বিধায়কের পরিচিতিপত্র ছিল। তাঁরা ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বাঁকুড়ার নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু! আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে]
এদিন প্রথম দফায় বিধানসভায় পোর্টিকোতে অবস্থান করে দলের বিধায়কদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দু। পরে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে গান্ধী মূর্তির সামনে বিজেপির মহিলা মোর্চার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। এদিন কলকাতায় বিজেপির কর্মসূচি বিনা বাধাতেই হয়েছে। আগে থেকে পরিকল্পনা করেই মিডিয়ার প্রচারের আলোয় আসতে বিধানসভা চত্বরে হইচই করে বিজেপি বিধায়করা। তবে এদিন বিজেপির দুটি কর্মসূচি কার্যত ফ্লপ শো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজে বাংলার বকেয়া অর্থ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মূলত, শুভেন্দুই দিল্লিতে দরবার করে এই দুই প্রকল্পে রাজ্যের গরিব মানুষের টাকা আটকেছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল যখন গরিব মানুষের টাকা চাইতে দিল্লিতে আন্দোলন করছে তখন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিষয়টি বিজেপি ঘোরাতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।