বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ৭ মার্চ রাজ্যপালের ভাষণ শুরুর ঠিক আগে বিধানসভায় বিক্ষোভের জের। সাসপেন্ড করা হল বিজেপির দুই বিধায়ক (BJP MLA) সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে। চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই দু’জনকে। এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘরে বৈঠকে বিজেপির বিধায়করা।
গত সোমবার অর্থাৎ ৭ মার্চ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল-সহ সকলে পৌঁছে যান। প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের উদ্বোধনী ভাষণ দেওয়ার কথা। তার আগেই বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের আসনে বসে বেশ কিছুক্ষণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ধনকড়।এদিকে বিক্ষোভের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পুরসভা নির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ তুলে ক্রমশ সুর চড়াতে থাকে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিক্ষোভের জেরে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জগদীপ ধনকড়। সব মিলিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বিশ্বক্রিকেটে নিয়ম বদল, বিতর্কিত ‘মানকাডিং’ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল MCC]
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিধানসভায় বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেনশনের প্রস্তাব রাখেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ধ্বনিভোটে পাশ হওয়ায়, দুই বিধায়ককে চলতি অধিবেশনের জন্য অর্থাৎ ২৮ মার্চ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। দুই বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশনেক বিষয়টিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছেন বিজেপির বিধায়করা।
এ বিষয়ে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, ৭ মার্চ বিজেপি বিধায়করা অত্যন্ত সুস্থ পদ্ধতিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। উলটে তৃণমূলের পাঁচ বিধায়ক রাজ্যপালের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আরজিও জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য শাস্তির মুখে পড়তে হল বিজেপি বিধায়কদেরই।