সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moosewala) খুনি সন্দেহে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল দুই গ্যাংস্টারের। জানা গিয়েছে, আহত হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী। ভারত-পাকিস্তান আটারি সীমান্ত থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে এই এনকাউন্টার শুরু হয়। খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরতে বারণ করা হয়। প্রথমে গ্যাংস্টারদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সাড়া না মেলায় গুলির লড়াই শুরু হয়।
পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) কাছে খবর আসে, হোশিয়ার নগর এলাকায় একটি হাভেলিতে লুকিয়ে রয়েছে তিন গ্যাংস্টার। সেই কথা জানার পরেই স্থানীয় গুরুদ্বারা থেকে সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে না বেরতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় গ্যাংস্টারদের। কিন্তু সেই কথায় সাড়া না দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। লড়াইয়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় দুই গ্যাংস্টারের। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম জগরূপ সিং রূপা এবং মনপ্রীত সিং। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি গৌরব যাদব।
[আরও পড়ুন: জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ালো স্বামী! মর্মান্তিক মৃত্যু গৃহবধূর]
জানা গিয়েছে, চার ঘণ্টা ধরে এনকাউন্টার চলেছে। এনকাউন্টার শেষে গৌরব জানিয়েছেন, “মারাত্মক গুলির লড়াই চলেছে দু’পক্ষে। সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই গ্যাংস্টারের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মী। তবে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে।” জানা গিয়েছে, গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন এক চিত্র সাংবাদিক।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল সিধুর। গত বছর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার পরেরদিনই খুন হন তিনি। তাঁর খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে নানা প্রশ্ন। যার উত্তর খুঁজছে তাঁর হত্যাকাণ্ডে গঠিত হওয়া SIT। হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।