সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: গরিবদের লোভ দেখিয়ে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে দেশ-বিদেশে কোটি, কোটি টাকার লেনদেন হত। যা নিয়ন্ত্রণিত হত নদিয়ার তেহট্ট থেকে। একটি প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে সেই কথা জানতে পারে বেঙ্গালুরু পুলিশ। অনলাইন প্রতারণার অভিযোগে ভিনরাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন নদিয়ার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর এক শাগরেদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তৃণমূল নেতার নাম পিঙ্কু মণ্ডল। তিনি থানারপাড়ার পরানপুরের বাসিন্দা। অপরজনের নাম কামালউদ্দিন হাসান। তিনি তেহট্টের বাসিন্দা। নাজিরপুরে জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে তাঁর। তেহট্ট থানা এবং নাজিরপুর ফাঁড়ির পুলিশের সাহায্য নিয়েই তাঁদের গ্রেপ্তার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ধৃতদের থেকে পাসবুক, এটিএম কার্ড এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের কর্নাটকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, "কর্নাটক পুলিশ একটি সাইবার প্রতারণার মামলার তদন্তে এসে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নিয়ে গিয়েছে তারা।"
ভিনরাজ্য পুলিশ কী করে জানতে পারল টিঙ্কুদের কথা? জানা গিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু পুলিশের সাইবার শাখায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার অনলাইন প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। তখনই তদন্তকারীদের নজরে আসে নদিয়ায় বসে অনলাইন প্রতারণা চক্র চালাচ্ছেন দুই ধৃত। এরপর আর বিলম্ব না করে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ বেঙ্গালুরু পুলিশ। অভিযান চালায় টিঙ্কুর বাড়িতে। প্রতারণার মামলায় তৃণমূল নেতার নাম জড়ানোয় দলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, "কেউ ব্যক্তিগত ভাবে এই ধরনের কাজ করে থাকলে, তার দায় দলের নয়। অভিযুক্তের দোষ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।"