সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সকালে ওড়িশার (Odisha) মালকানগিরি জেলায় মাওবাদীদের (Maoist) সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে দু’জন মাওবাদী খতম হয়েছে। তার আগে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে বলে জানা গিয়েছে। নিহত দুই মাওবাদীর একজন মহিলা। মালকানগিরির পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট হৃষিকেশ ডি খিলাড়ি একথা জানিয়েছেন।
আগে থেকেই খবর ছিল জেলার স্বাভিমান অঞ্চলের গজলমামুদীতে মাওবাদীরা লুকিয়ে আছে। সেইমতো জেলা পুলিশ বিএসএফ, এসওজি ও ডিভিএফ জওয়ানদের সঙ্গে মিলে ওই মাওবাদীদের সন্ধানে যৌথ অভিযান চালায়। তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পরই বাহিনীর উপরে গুলিবর্ষণ শুরু করে মাওবাদীরা। উত্তর দেয় বাহিনীও। মুহূর্তের মধ্যে এলাকা ভরে ওঠে গুলির শব্দে।
[আরও পড়ুন : ‘কাপুরুষোচিত’, সংসদে হামলার ১৯ বছর পূর্তিতে তীব্র নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর]
একসময় মাওবাদীদের তরফে আর উত্তর না পেয়ে ফের তল্লাশি শুরু করা হয়। এরপরই উদ্ধার করা হয় দুই নিহত মাওবাদীর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি বন্দুক, চার রাউন্ড বুলেট ও প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরকের খোল উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি মাওবাদীদের বইপত্রও পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রানুসারে, যৌথ বাহিনীর তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই এলাকায় আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকলে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছে ওড়িশা পুলিশ। ডিজিপি অভয়ের কথায়, ‘‘পুরো এলাকা মাওবাদীমুক্ত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আমরা তাদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছি।’’
[আরও পড়ুন : বড়ো শান্তিচুক্তির ফসল, অসম বিধানসভার আগে BTC নির্বাচনে বড় সাফল্য বিজেপির]
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর স্বাভিমান অঞ্চলেরই ভীমারাম অভয়ারণ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে। সেই সময় এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই অঞ্চলকে মাওবাদীমুক্ত করতে তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল বাড়তি তৎপরতা। অবশেষে এদিন ফের খবর আসতেই শুরু হয় অভিযান।