সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর আগস্ট মাসে রাজস্থানের (Rajasthan) ভিলওয়াড়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে মারার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যে নৃশংসতায় হতবাক হয়েছিল গোটা দেশ। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল বিশেষ আদালত।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, জীবিত অবস্থায় নির্যাতিতাকে চুল্লিতে ফেলে দিতে দুই অভিযুক্তকে সাহায্য করেছিলেন মহিলারা। ঘটনায় জড়িত মোট ১০ জন। ছয় পুরুষ এবং চার মহিলা। প্রাথমিক ভাবে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনাকে 'বিরলের মধ্যে বিরল' বলল আদালত। শনিবার পকসো আইনে দুই অভিযুক্ত কালু এবং কানহাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারপতি। যদিও প্রমাণ নষ্টের অভিযুক্ত তিন মহিলা-সহ ৭ জনকে এদিন বেকসুর খালাস ঘোষণা করে বিশেষ আদালত।
[আরও পড়ুন: CCTV ফুটেজ বাজেয়াপ্তর পর এবার স্বাতীর পোশাক পাঠানো হল ফরেনসিক তদন্তে]
অভিযুক্ত তিন মহিলার মধ্যে দুজন কালু এবং কানহার স্ত্রী বলে জানা গিয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী মহাবীর সিং কিশনাওয়াত জানান, কালু এবং কানহাকে ধর্ষণ এবং খুনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদাবত। তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্তরা রাজস্থান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: তাজমহলের পাশে মসজিদের ভিতর থেকে উদ্ধার যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ, ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য]
গত বছর ৩ আগস্ট ভিলওয়াড়ার ইটভাটা থেকে কিশোরীর পোড়া দেহাংশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চার অভিযুক্ত কালু লাল (২৫), কানহা (২১), সঞ্জয় কুমার (২০) এবং পাপ্পুকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। জীবিত অবস্থায় কিশোরীকে ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লিতে ফেলে দিতে সাহায্য করেন অভিযুক্তদের স্ত্রী, মা এবং বোন। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল স্থানীয় থানার সাব-ইন্সপেক্টরকে। সেই ঘটনাতেই দুই অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত।