মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন অভিযানে ফের বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। শনিবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী-সহ মোট ২ জেহাদি। জইশ-ই-মহম্মদের এক কুখ্যাত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু নিহত হয়েছে। সে ২০১৪ সালে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী ছিল বলে খবর। এমনকী, এনআইএ-র চার্জশিটেও তার নাম ছিল বলে খবর। এই লম্বু আবার জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয়ও বটে।
[আরও পড়ুন: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করল Mizoram]
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার দাচিগাম জঙ্গলে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই বাঁধে সেনার। সংঘর্ষে দুই সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। লুকিয়ে থাকা জেহাদিদের খোঁজে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতেই দাচিগাম জঙ্গলের নামিবিয়ান ও মারসার এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পান গোয়েন্দারা। দ্রুত সেই খবর পৌঁছে দেওয়া হয় সেনা ও পুলিশের কাছে। তারপর তৈরি করে ফেলা হয় অভিযানের নকশা। ভোর রাতেই ঘিরে ফেলা হয় সন্ত্রাসবাদীদের ডেরা। জওয়ানদের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে জেহাদিরা। তবে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে চলা গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় দুই জঙ্গি। নিরাপত্তারক্ষীরা মনে করছেন যে ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে। তাদের খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের আরও এক কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনায় জড়িত ছিল সে। তার আগে গত মে মাসে কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। ওই সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়। সব মিলিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় লস্করের কোমর ভেঙে সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় সেনাবাহিনী।