সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীরাজ্যে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তোলপাড়। কানপুরের কাছে ঘাটামপুরে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দুই নাবালিকার দেহ। মৃত কিশোরীদের বাবা স্থানীয় ইটভাটার শ্রমিক। পরিবারের অভিযোগ, ইটভাটার মালিক-সহ তিন জন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এদিকে এই ঘটনায় সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে যোগীকে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar) এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশি পাঁজা (Shashi Panja)।
বুধবার গম ক্ষেতের কাছে একটি গাছে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া কিশোরীদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাটামপুর থানায় পরিবারের অভিযোগে ধর্ষণের পর খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগ নিলেও খুনের অভিযোগ দায়ের করেনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত ইটভাটার মালিক ও অন্য দুজনকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদা করা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উদ্ধার করেছিলেন উত্তরকাশীর শ্রমিকদের, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল সেই যুবকের বাড়ি]
এই ঘটনাতেই সরব হয়েছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যাগ করে তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার এক্স হ্যান্ডেলে প্রশ্ন তুলেছেন, “কবে বন্ধ হবে এই ধরনের নৃশংসতা? আপনার ডাবল ইঞ্জিন সরকার নারীবিরোধী, জঙ্গলরাজ সরকার ছাড়া কিছুই নয়! ” কাকলী আরও লেখেন, “বেটি বাঁচাও অথবা বেটি মার ডালো (মেয়েকে বাঁচাও অথবা মেরে ফেলো)।”
একই বিষয়ে মন্ত্রী শশি পাঁজা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশে আরও একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। ঘাটমপুরে দুই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়, তারপর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, আপনার ব্যর্থতার ভয়াবহ স্মারক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এখনই জবাবদিহি করুন। আপনার হাত ইতিমধ্যে নিষ্পাপ মেয়েদের রক্তে রঞ্জিত।”
[আরও পড়ুন: মেলেনি প্রমাণ, মুক্ত ১৯৯৩ মুম্বই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল করিম টুন্ডা]
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি কাণ্ডে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের প্রাক্তন নেতা শাহজাহান শেখ এবং শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে এসে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। এবার পালটা যোগীরাজ্যের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সরব হলেন তৃণমূল নেতারা।