সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ২ মিনিটের দেরি। জেলাশাসকের দপ্তরে প্রবেশ করেও মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না প্রার্থী। এই ঘটনায় সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রেগে আগুন হলেন একদা কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী তথা বর্তমানে বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি দলের নেতা অনীশ আহমেদ। তাঁর অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে নেওয়া হয়নি মনোনয়নপত্র।
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষে ২৯ অক্টোবর বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন জমার শেষ সময়। সেইমতো সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো জৌলুস বের করে মনোনয়ন জমা দিতে যান অনীশ। মধ্য নাগপুর কেন্দ্র থেকে এবার তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল। তবে এই জৌলুস বের করার জেরে জেলাশাসকের দপ্তরে যেতে দুমিনিট দেরি হয় অনীশের। যার জেরে জেলাশাসক তাঁর মনোনয়ন নিতে রাজি হননি। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সময়বহির্ভূত এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে অনীশ বলেন, আমি আমার একজন প্রতিনিধিকে আগেই দপ্তরে পাঠিয়ে ছিলাম। সেখানে তাঁকে ৮ নম্বরের একটি কুপনও দেওয়া হয়। এবং তিনি নিজে ৩টার আগে অফিসের মধ্যে প্রবেশ করেন। তবে অফিস চত্বরে ঢুকলেও জেলাশাসকের অফিস পর্যন্ত যেতে তাঁর ২ মিনিট আরও সময় লাগে। প্রার্থীর অভিযোগ, এইটুকু সময় দেরির জন্য তাঁর মনোনয়ন গ্রহন করা হয়নি। এই ঘটনায় প্রার্থীর প্রশ্ন, অফিসের প্রধান দরজার মধ্যে ঢুকে যাওয়ার পরও কেন বাতিল করা হবে মনোনয়ন? তাঁর যে প্রতিনিধি অফিসের ভেতর ছিলেন তাঁকে কেন যেতে দেওয়া হল না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। এদিকে মাত্র ২ মিনিটের দেরিতে মনোনয়ন গ্রহন না হওয়ায় বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, বিরোধী দলের নেতা হওয়ার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। উনি শাসকদলের নেতা হলে এটা কোনও সমস্যাই ছিল না।
তবে শুধু মনোনয়ন বাতিল নয়, জোট জটে মহারাষ্ট্রের একাধিক আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি শাসক ও বিরোধী দুই শিবির। মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনের মধ্যে শাসক মহাজুটি লড়ছে ২৮৪ আসনে। অর্থাৎ ৪ আসনে সরকারিভাবে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি শাসকজোটের তরফে। এই ২৮৪ আসনের মধ্যে বিজেপি লড়ছে ১৫২ আসনে, একনাথ শিন্ডের শিব সেনা লড়ছে ৮০ আসনে। অজিত পওয়ারের এনসিপি লড়ছে মাত্র ৫২ আসনে। বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ির অবস্থা আরও খারাপ। মনোনয়ন পর্ব হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে তাঁরা মাত্র ২৮০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পেরেছে। অর্থাৎ সরকারিভাবে ৮ আসন এখনও ফাঁকা। মহা বিকাশ আঘাড়িতে কংগ্রেস লড়ছে ১০৩ আসনে, উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা লড়ছে ৮৭ আসনে, শরদ পওয়ারের এনসিপিও লড়ছে ৮৭ আসনে। মহা বিকাশ আঘাড়ির আরেক শরিক সমাজবাদী পার্টিকে দেওয়া হয়েছে ৩ আসন।