তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিটাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি মা ও ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই দার্জিলিং জেলা পুলিশের খড়িবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে এবং কিশোর আইনে শিশুটিকে হেফাজতে নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শায়েস্তা হানিফ (৬২) ও আরিয়ান মহম্মদ হানিফ (১১)। বৃহস্পতিবার বিদেশি আইনে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নেপালের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ান হাইওয়ে সেতু হয়ে শিলিগুড়ি বিভাগের খড়িবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কিতে পৌঁছায় পাকিস্তানি মা-ছেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করে এসএসবি জওয়ানরা। এর পর তাঁদের দুজনকেই আটক করা হয়।
[আরও পড়ুন: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ট্রেনে, দাউদাউ করে জ্বলছে দিল্লি-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস]
পাসপোর্ট অনুযায়ী, তাঁরা দুজনই পাকিস্তানের করাচির গহানমার স্ট্রিট, সরাফা বাজারের বাসিন্দা। গত বছরের ২৯ মে এই মা ও ছেলের পাসপোর্ট ইস্যু করে পাকিস্তান সরকার। মহিলার পাসপোর্ট ২০৩২ পর্যন্ত বৈধ এবং সন্তানের পাসপোর্ট মে ২০২৭ পর্যন্ত বৈধ। তাঁরা দুজনই পাকিস্তান থেকে সৌদি আরব গিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। যেখানে গত ৫ নভেম্বর দুজনেই ভারত ও নেপাল যাওয়ার উদ্দেশে বিমানের টিকিট বুক করেন। ১১ নভেম্বর, তাঁরা দুজনেই সৌদির জেদ্দা বিমানবন্দরে উড়ে এসে দিল্লি পৌঁছেছিল। দিল্লি থেকে দুজনেই নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছায়। এসএসবি প্রাথমিক জেরায় তাঁদের হেফাজত থেকে কাঠমান্ডু-মুম্বই এবং সেখান থেকে জেদ্দার বিমান টিকিট উদ্ধার করেছে।
এর সঙ্গে ৫ নভেম্বর ইস্যু করা নেপালের ট্যুরিস্ট ভিসা, দুটি মোবাইল, দুটি সিম কার্ড, একটি মেমোরি কার্ড, দুটি পেনড্রাইভ, দশ হাজার নেপালি মুদ্রা, ১৬ হাজার ৩৫০ টাকা, ৬ ইউরো, ১৬৬ রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্তে ধরা পড়া মা-ছেলেরা পাকিস্তানি নাগরিক। তবে গত কয়েক বছর ধরে সৌদিতে বসবাস করছেন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় বসবাসকারী তাঁর বোনের সঙ্গে দেখা করতে এই মহিলা তাঁর ছেলের সঙ্গে ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিল। আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছি।”