সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পারিবারিক বিবাদের জেরে সাতসকালে জোড়া খুন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের সরিষা হাটে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। দেহদুটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাগদা মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা নুর সালাম বেগ। পাতড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি ওই যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের সরিষা হাটে মাছ কিনতে গিয়েছিলেন নুর সালাম বেগ। মাছ কিনে বাইকে ওঠার সময় তার পথ আটকায় চারজন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল ধারালো অস্ত্র। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর প্রকাশ্য রাস্তায় নুর সালামকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে তারা। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান স্থানীয়রা। এদিকে রক্তে ভেসে যায় রাস্তা।
[আরও পড়ুন: ডাকাতির টাকায় প্রেমিকাকে আইফোন, হবু শাশুড়িকে ফ্ল্যাট উপহার! হাওড়ার যুবকের কীর্তিতে হতবাক পুলিশ]
স্থানীয়রা তাড়া করতেই দুই দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে চম্পট দেয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে বাকি ২ জন বাইকে উঠতে পারেনি। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু লাভ হয়নি। উত্তেজিত জনতা ধরে ফেলে তাদের। এরপরই চলে গণপ্রহার। মারধরের জেরে মৃত্যু হয় শরিফুদ্দিন মোল্লা নামে বছর ৩২-এর এক যুবকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রথমেই দেহ দুটি উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও উত্তেজনা এলাকায়।
কিন্তু কী কারণে এই হামলা? জানা গিয়েছে, নুর সালাম বেগ ও শরিফুদ্দিন মোল্লা সম্পর্কে ভায়রা ভাই। তাঁদের সম্পর্কে জটিলতা ছিল। পারিবারিক সেই সমস্যার কারণেই এই নৃশংসতা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে নুর সালামের স্ত্রী রেনুজা বিবি জানিয়েছেন, তাঁর দেওয়ের শ্যালক শরিফুদ্দিন। রেনুজার বোনের বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। তবে তাঁদের মধ্যে বনিবনা হয়নি। বিচ্ছেদও হয়ে যায়। পরবর্তীতে শরিফুদ্দিনকে স্ত্রীকে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হয়। তা নিয়ে ক্ষোভ ছিল। এছাড়া প্রতিবেশী রফিক মল্লিকের সঙ্গে জায়গা নিয়ে অশান্তিও ছিল নুর সালামের। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার করা হয়েছে রফিক মল্লিকের ছেলেক।