সুদীপ রায় চৌধুরী: লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ২ আধিকারিককে দায়িত্ব থেকে সরালো নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। যে দুই আধিকারিককে সরানো হয়েছে তাঁরা হলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায় চৌধুরী এবং জয়েন্ট সিইও রাহুল নাথ।
দীর্ঘ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছে এমন সিনিয়র আধিকারিকদের দায়িত্ব থেকে সরাতে রাজ্যের কাছে আধিকারিকদের তালিকা চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই হিসেবে গত ১০ বছর ধরে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্বে রয়েছেন অমিত রায়চৌধুরী। অন্যদিকে, জয়েন্ট সিইও রাহুল নাথ দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় ৬ বছর ধরে। সূত্রের খবর, অনেক বছর ধরে দায়িত্বে থাকার জন্যই দুই আধিকারিককে এদিন সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নাকি বিজেপি কর্মী? ভোটমুখী মালদহে নিহত যুবকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তরজা]
পাশাপাশি এই দুই আধিকারিককে সরানোর পিছনে উঠে আসছে আরও একটি তত্ত্ব। সম্প্রতি, অমিত রায়চৌধুরী ও রাহুল নাথের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি দাবি করেন, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিকরা দায়িত্বে থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। তাঁর অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ।
[আরও পড়ুন: ‘আবাসের ঘর পেলে এত ক্ষতি হত না’, দুর্যোগে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে ‘তোপ’ অভিষেকের]
উল্লেখ্য, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে আধিকারিকদের রদবদল প্রক্রিয়া জারি রয়েছে কমিশনের তরফে। এর আগে গত ১৮ মার্চ রাজীব কুমারকে সরিয়ে রাজ্যের ডিজিপি করা হয়েছিল বিবেক সহায়কে। পরদিন, ১৯ মার্চেই তাঁকেও সরিয়ে বাংলার নয়া ডিজিপি হন আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। এরপর থেকে দফায় দফায় রাজ্যের একাধিক পুলিশ সুপার ও জেলা শাসককে বদল করা হয়েছে কমিশনের তরফে। সেই তালিকায় এবার সিইও দপ্তরের দুই আধিকারিক।