রাজা দাস, গঙ্গারামপুর: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুর। মঙ্গলবার সকালে গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এক তৃণমূল (TMC) নেতা ও কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, এই সংঘর্ষের পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের হাত থাকতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই বহুদিনের। বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ফের সেই দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুর এলাকায় কার প্রভাব থাকবে, এ নিয়ে এদিন সকালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাঁধে। এরপরই এক গোষ্ঠীর সদস্যরা অপর গোষ্ঠীর উপর চড়াও হয়। ব্যাপক মারধর, বাড়িতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে দলেরই সদস্যদের বিরুদ্ধে। আরেক তৃণমূল কর্মীও গুলিবিদ্ধ হন। মালদহের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন : শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করার হুমকি, চুনকালি মাখিয়ে জুতোপেটা অধ্যক্ষকে]
অশান্তির সময় তৃণমূল নেতা কালীপদ সরকারকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযােগ। এদিন সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কালীপদ সরকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। মালদহ হাসপাতালে মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী সন্দীপ সরকারেরও। এরপর সুমন রায় নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, “এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি বাধে। কীভাবে কালীপদ সরকারের মৃত্যু হয়েছে, তা জানি না। তবে তৃণমূল কর্মী সন্দীপ সরকারকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে।” এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও জানিয়েছেন গৌতমবাবু। তাঁর অভিযোগ, এই অশান্তির পিছনে অন্য রাজনৈতিক দলের হাত থাকতে পারে।
[আরও পড়ুন : তরুণী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দফায় দফায় বিক্ষোভ, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত সাঁকরাইল]