সুমন করাতি, হুগলি: কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে হাওড়া পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে মেট্রো। কেন্দ্র 'দয়া' দেখালে হুগলিতেও মেট্রো চলবে। আশাবাদী হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে হুগলির মেট্রো নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মেট্রোটা যদি চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি, মানুষের ভীষণ উপকার হয়। সেটা নিয়ে চিঠিপত্র দিয়েছি। এটা একটা বড় ব্যাপার। তবে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। সেটা নিয়ে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হল। জেলাশাসক বলেছেন, তা যদি করা যায় তাহলে বহু মানুষ উপকৃত হবে।"
এরপরই যোগ করেন, "রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে আমি চিঠি দিয়েছিলাম। উনি উত্তর দিয়েছেন। সেটা সবথেকে বড় কথা। উনি বলেছেন কীভাবে এগোনো যায়, সেটা দেখছেন। জমি অধিগ্রহণের বিষয় থাকলে সেটাও দেখতে হবে কোথায় কীভাবে এগোনো যায়। এটা তো সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয়, মাঝে শ্রীরামপুর আছে। হাওড়া আছে। হাওড়ায় রয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে মিলিতভাবে এটা করতে হবে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব। বাকিটা কেন্দ্রের হাতে। তারা যদি একটু দয়াশীল হন, তাহলে আমরা লড়তে পারি। এ বিষয়ে মন্ত্রীরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যদি বিষয়টা মিটে যায় তাহলে আর প্রশ্ন নেই।"
ইচ্ছা থাকলেও সংসদে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাননি, সে কথাও জানালেন রচনা। বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। সংসদে দেখা হয়, কিন্তু কথা হয় না। কথা বলতে গেলে ৫০০ জন সাংসদ আছেন। লটারিতে কার নাম উঠবে সেটা কপালের ব্যাপার। আমার যেমন একবার সুযোগ হয়েছিল, বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে বলেছি। আবার চেষ্টা করছি সুযোগ পেলেই মেট্রো-সহ মানুষের অন্যান্য দাবি নিয়ে বলব।"
আজমেঢ় শরিফ যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের দাবিও জানিয়েছেন রচনা। তিনি বলেন, "আজমেঢ় শরিফ যাওয়ার জন্য ব্যান্ডেল থেকে কোনও ট্রেন নেই। যাত্রীদের বর্ধমান আর না হলে কলকাতা থেকে ট্রেন ধরতে হয়। চেষ্টা করছি যাঁরা আজমেঢ় শরিফ যেতে চান, তাঁদের জন্য ব্যান্ডেল থেকে যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়।" তিনি আরও বলেন, "জেলার কয়েকটি জায়গায় উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। মানকুন্ডুতে মানসিক হাসপাতাল, ধনেখালি হাসপাতালের কাজ চলছে। গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসকের একটা সমস্যা আছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। যাতে যোগ্য চিকিৎসকদের জেলায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। সব চিকিৎসকই যদি শহরে চলে যান, তবে গ্রামের লোকেদের কে দেখবেন? তাই আমি চাই ভালো ডাক্তাররা আসুন গ্রামের হাসপাতালে। বড় বড় হাসপাতালগুলি আমরা তৈরি করছি। সেবাই যদি না দিতে পারি তাহলে কলকাতা ছুটতে হয়। রাস্তাতে অনেক অঘটন ঘটছে।"