অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: বাড়ির দরজা ভেঙে দুই যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় (Debra)। দুই মহিলার উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই নির্যাতিতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতারা অর্কেস্ট্রা গ্রুপের সদস্য। খড়গপুরের দুই নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। রবিবার মাড়াতলায় একটি বাড়িতে তাঁরা নাচগানের মহড়া দিচ্ছিলেন। সন্ধে ছ’টা নাগাদ মহড়া শেষ হয়। তখন তাঁরা বাড়ি ফেরার বাস পাবেন না, এই আশঙ্কায় ডেবরা থানার ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক পরিচিতার বাড়িতে আশ্রয় চান। ওই মহিলা একসময় অর্কেস্ট্রা দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই মহিলার বাড়িতেই একরাতের জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন তিন যুবতী এবং দুই যুবক।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতর মামলার বিচারককে হুমকি, জামিন না দিলে মাদক মামলায় ফাঁসবে পরিবার!]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশ্রয় দেওয়া পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। পরিবারের ওই মহিলা ছাড়া তাঁর বৃদ্ধ শ্বশুর এবং ১৫ বছরের ছেলে রয়েছে। একই ঘরের তক্তাপোষে দুই যুবক, মহিলার ছেলে এবং শ্বশুর ঘুমোচ্ছিলেন। মাটিতে ছিলেন অর্কেস্ট্রা গ্রুপের তিন মহিলা-সহ মোট ৪ জন। অভিযোগ, রাতে কয়েকজন যুবক ওই বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেয়। না খোলায় দরজা ভেঙে ওই মহিলা, তাঁর শ্বশুর ও ছেলেকে একটি ক্লাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ করা হয়, বাড়ির ভিতরে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। এই অভিযোগ তুলে পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর করা হয়। বাদ যাননি আশ্রয়দাত্রী মহিলাও।
এরপর অর্কেস্ট্রা দলের তিন যুবতীকে তুলে আনা হয়। এরমাঝেই এক যুবতী অন্ধকারে পালিয়ে বাঁচেন। বাকি দু’ জনকে একটি বিদ্যালয়ের হস্টেল লাগোয়া পুকুর পাড়ের পরিত্যক্ত ঘরে তুলে আনা হয়। সেখানেই নারকীয় অত্যাচার চালানো হয় তাঁদের উপর। হুমকি দিয়ে এলাকাছাড়া করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: বীরভূম জুড়ে তল্লাশি, বগটুই অগ্নিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার নিহত ‘ভাদু শেখ’ ঘনিষ্ঠ ৭]
অবশেষে সোমবার দুপুরে ডেবরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতারা। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হয়েছে।