সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বিরাট কোহলি। ক্রিকেটীয় ভাষায় যাকে বলা যায় EPDS। বিরাটের ব্যাটিংয়ের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গ্রেগ চ্যাপেল। ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেড কোচ অবশ্য বলছেন, প্রত্যেক মহান ক্রিকেটারকেই কেরিয়ারের কোনও না কোনও একটা সময় এই সমস্যায় ভুগতে হয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেট প্রায় চার বছর সেভাবে রান নেই বিরাটের ব্যাটে। ২০২০ সালের পর কিং কোহলি ৫৬ ইনিংসে মাত্র ১৯৬৪ রান করেছেন। গড় মাত্র ৩১.৬৭। কোহলি যে মানের ক্রিকেটার সেই হিসাবে এটা একেবারেই নগণ্য। চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতেও কথা বলছে না বিরাটের ব্যাট। পারথে সেঞ্চুরির পর শেষ ৩ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ২১ রান। কিন্তু কেন লাগাতার ব্যর্থ হচ্ছে বিরাটের ব্যাট? গুরু গ্রেগ বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে এলিট পারফরম্যান্স ডিক্লাইন সিন্ড্রোম বা EPDS।
কী এই ইপিডিএস? গুরু গ্রেগ বলছেন, বিরাট নিজের ইনিংসের শুরুটা আর আগের মতো দাপটের সঙ্গে করে উঠতে পারছেন না। প্রথম ২০-৩০ রান না আসা পর্যন্ত বেশ চাপে থাকছেন বিরাট। একটা সময় বিরাট শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলতেন। কিন্তু এখন ২০-৩০ রান পেরোলে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না। একবার ২০-৩০ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান তিনি। এটাকেই গ্রেগ বর্ণনা করেছেন এলিট পারফরম্যান্স ডিক্লাইন সিন্ড্রোম বলছেন। তাঁর মতে, পর পর ব্যাটে রান না এলে এই সমস্যায় সব মহান ব্যাটারকেই ভুগতে হয়ে। শচীন তেণ্ডুলকরকেও ভুগতে হয়েছে, রিকি পন্টিংকেও ভুগতে হয়েছে।
বক্সিং ডে-তে মেলবোর্নে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। তাঁর আগে বিরাটের ফর্মে ফেরা জরুরি। পারথে সেঞ্চুরির পর আশা করা গিয়েছিল বাকি দুটি টেস্টে জ্বলে উঠবেন বিরাট কোহলি। কিন্তু অ্যাডিলেড ও ব্রিসবেনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।