সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের মরশুমে প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। কী কী বার্তা দিলেন তিনি?
Advertisement
- বাংলার মানুষ আসল পরিবর্তন চায়। সোনার বাংলা চাইছে মানুষ।
- এবারের বিধানসভা নির্বাচনে একদিকে তৃণমূল, কংগ্রেস-বাম জোটের বাংলা বিরোধী ভাবমূর্তি ও অন্যদিকে রয়েছে বাংলার জনতা।
- ব্রিগেডে আপনাদের হুংকার শুনে কারওর মনে আর কোনও সন্দেহ থাকবে না। কেউ কেউ তো ভাবছেন, ২ মে এসে গিয়েছে।
- বাংলার পরিস্থিতি বদলের বিশ্বাস জোগাতে আমি এখানে এসেছি। কাজ করে আপনাদের মন জিতে নেব আমরা। এখানকার আসল পরিবর্তন আনবে বিজেপি। তাঁদের পরিশ্রম আসল পরিবর্তন আনবে এ রাজ্যে।
- আসল পরিবর্তন কী? যেখানে যুব সমাজ শিক্ষা-কাজ পাবে। কাউকে এ রাজ্য ছাড়তে হবে না। এই পরিবর্তন বাংলায় নিয়োগ আনবে। আসল পরিবর্তনে গরীবরাও এগোতে পারবে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, জঙ্গলমহলের মানুষ, শরণার্থী সকলের কথা সমান ভাবে ভাবা হবে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ পরিবর্তনের মূলমন্ত্র। অনুপ্রবেশ আটকানো হবে। উন্নয়ন হবে কিন্তু তোষণ নয়।
- স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর বাংলার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এই সময় বাংলা থেকে যা যা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনা হবে। আগামী ২৫ বছর বাংলার জন্য খুব জরুরি। এর প্রথম পদক্ষেপ এবারের বিধানসভা নির্বাচন। তাই এবার শুধু বাংলার জন্য ভোট দেবেন না, ২০৪৭ সালে গোটা দেশকে নেতৃত্ব দেবে বাংলা। এই লক্ষ্য নিয়ে ভোট দেবেন।
- ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতা হবে ‘সিটি অব ফিউচার’ ।
- কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও স্লোগান দিয়ে বামেরা ক্ষমতায় এসেছিল। তিন দশক রাজত্ব করেছে। কিন্তু এখন কালো হাত কীভাবে ফরসা হয়ে গেল?
- মা-মাটি-মানুষ নিয়ে খোঁচা। মা-বোনেরা অত্যাচারের শিকার হয়েছে। মানুষ আজ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। তৃণমূল সরকারের আসল রূপ সবার সামনে এসেছে।
- বাংলার মানুষ দিদিকে একটাই প্রশ্ন করছে, আপনাকে দিদি হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু আপনি একজনের পিসি হয়ে রয়ে গেলেন। বাংলার লক্ষ-লক্ষ ভাইপোর কথা ভাবলেন না। নিজের ভাইপোর লোভ-লালসা পূর্ণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আপনিও কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে ছাড়তে পারলেন না। মানুষের বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।
- স্কুটি চালাতে গিয়ে পড়ে যাননি এটা ভাল, না হলে স্কুটিটি যে রাজ্যে তৈরি হয়েছে সেই রাজ্যকে নিজের শত্রু বানিয়ে ফেলতেন।
- ভবানীপুর ছেড়ে স্কুটি নন্দীগ্রামে দিকে চলে গিয়েছে। আপনিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর কী করা যাবে!
- কেন্দ্রের পাঠানো টাকা এ রাজ্যের সরকার খরচ করতে পারেনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে বিজেপি।
- বিরোধীরা বলে আমি নিজের বন্ধুদের জন্য কাজ করি। আমরা ছোট থেকে যাঁদের সঙ্গে বড় হয়েছি, তাঁরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়। আমিও ছোট থেকে দারিদ্রের মধ্যে বড় হয়েছি। তাই আমি গরীবের জন্য কাজ করি। দেশের যে কোনও প্রান্তের গরীবদের জন্য কাজ করি। বাংলার গরীবদের জন্য কাজ করব। কান খুলে শুনে নিন, আমার বাংলার বন্ধুদের জন্য যতবেশি সম্ভব কাজ করব।
- দিদি ও তার সঙ্গীরা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। কোন খেলা বাকি রেখেছেন? দুর্নীতির অলিম্পিক হয়ে যাবে এ রাজ্যে।
- তৃণমূলের খেলা শেষ, উন্নয়ন শুরু।
- দিদির নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। দিদির রিমোট অন্য কারোর হাতে আছে।
- আমাকে কখনও দৈত্য বলছেন, কখনও গুণ্ডা বলছেন, এত রাগ কেন দিদি?
- তৃণমূল দুর্নীতি করছে তাই পদ্মফুল ফুটছে। লোকসভায় তৃণমূল হাফ, বিধানসভায় পুরো সাফ।
- বাংলার সরকারি কর্মচারীরা ভয় না পেয়ে কাজ করুন। ২ মে-র পর আর ভয়ের দিন আসবে না।