রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ‘রুই-কাতলা-ইলিশ তো নয়/ হায় রে কী যে করি/জাল টানলাম, জলের থেকে উঠল যে…’। না জলপরী, নয় জাল টানতেই সমুদ্র থেকে উঠে এল এক বিশালাকার হাঙর। যার ওজন দু’শো কিলো। রবিবার সকালের এই ঘটনাকে ঘিরে দিঘা মোহনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিশালাকার সেই মাছ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষ।
হাঙর বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এদিন মাছটিকে মোহনার নিলাম কেন্দ্রে আনা হয়। মাছটি কিনকে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শেষপর্যন্ত ২৯ হাজার টাকা বিক্রি হয় হাঙরটি। জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি সংস্থা হাঙরটি কিনে নেয়। এতবড় হাঙরকে সামনে দেখে ক্যামেরাবন্দি করতে বহু পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: জাদেজার জাদুতে ফের কুপোকাত অজিরা, দিল্লি টেস্টে জয়ের পথে ভারত]
হাঙ্গর মাছ ধরা ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরেও দিঘা মোহনায় ক্রমাগত হাঙ্গর ধরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ছোট থেকে বড় সব রকম হাঙর বিক্রি হয় এই মোহনায়। কী কাজে লাগে এই হাঙর?
[আরও পড়ুন: ১৫ লক্ষে শিক্ষক, ১২ লক্ষে গ্রুপ-ডি, নিয়োগের রেট বেঁধেছিল ‘সৎ রঞ্জন’, টাকা তুলত এজেন্টরা]
হাঙর মাছের তুলনামূলক দাম কম। ফলে ভেটকি বা দামি মাছের বদলে এই হাঙর ব্যবহার করা হয়। হোটেল ও রেস্তরাঁর বাহারি রান্নায় হাঙর ব্যবহার করে গ্রাহকদের বোকা বানানো হয় বলে অভিযোগ। ফিশ কাটলেট, চিলি ফিশ-সহ মাছের রকমারি পদ তৈরিতে ব্য়বহার করা হয় এই হাঙর।