দীপালি সেন: দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষা। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও মেলেনি নিয়োগ। চাকরি চেয়ে সোমবার ফের রাস্তায় নামলেন ২০১৪’র টেট (2014 Primary TET) উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীরা। সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভবনের সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিক্ষোভ তুলতে ধরপাকড় চালায় পুলিশ। যার দরুণ অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের একটাই দাবি, “চুরি হওয়া চাকরি ফেরত চাই।” সবমিলিয়ে এদিন দুপুরে সল্টলেকের রাস্তায় ধুন্ধুমার বেঁধে যায়।
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী নভেম্বর মাসে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের নিয়োগের ঘোষণা করেন। বলা হয়, প্রথমে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগ করা হবে। পরে আরও কিছু পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন। সেই প্রক্রিয়া শুরু হলেও সম্পন্ন হয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সেই নিয়োগ সম্পূর্ণ না করেই ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের যুগ্মভাবে ১১ হাজার পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। ফলে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের চাকরির সুযোগ কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: ‘ভিক্ষা দেওয়া অভ্যাস!’, হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ইস্যুতে মমতাকে তোপ দিলীপের]
নিয়োগের দাবিতে এদিন দুপুরে করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনের কাছে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভবন অর্থাৎ এপিসি ভবন। প্রথমে পুলিশের তরফে বিক্ষোভ উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। চলে ধরপাকড়ও। প্রিজন ভ্যানেও তোলা হয় কয়েকজন আন্দোলনকারী। পুলিশি টানা হ্যাঁচড়া ও প্রচণ্ড গরমের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন। প্রাথমিক চিকিৎসা সাড়া হয়। এরপর বঞ্চিতরা করুণাময়ীর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সল্টলেকের রাস্তায় বিক্ষোভ চলছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত, অসুস্থ হয়ে পড়া ৪ চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে এপিসি ভবনে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের ৪ প্রতিনিধিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে নিয়োগ না হলে আমরণ অনশনের হুমকিও দিয়ে রাখলেন তিনি।