সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে পাওয়া না গেলে বাতিল করা হবে ২০১৪ সালের টেট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতির কথায়, "ডিজিটাল তথ্য সহজে নষ্ট হয় না। মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার সম্ভব। তার পরও তথ্য হাতে না আসলে আদালত বাধ্য হবে পরীক্ষা বাতিল করতে।"
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগ। একাধিক মামলা চলছে আদালতে। ২০১৪ সালের টেটে কারচুপির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযোগকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। সেখানে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে এই টেট সংক্রান্ত মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল ওএমআর শিটের আসল নথি নষ্ট করা হয়েছে। তবে জানানো হয়েছিল, তথ্য ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এদিন শিটের আসল তথ্য প্রসঙ্গেই সিবিআইয়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: নেশার পর ছাত্রীকে ধর্ষণ! অভিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র]
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন বলেন, "পর্ষদের দাবি সব ওএমআর শিট ডিজিটাইজড ডাটা হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি বিজ্ঞান অনুযায়ী, কোনও তথ্য মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার সম্ভব। অর্থাৎ, ওএমআর শিটের তথ্যও পাওয়া যেতে পারে। আর ওই সব তথ্য সিবিআইকে খুঁজে বার করতেই হবে। যদি তার জন্য হার্ডডিস্ক, অন্য কোনও সূত্রের প্রয়োজন হয়, তবে প্রয়োজনে পর্ষদ অফিসেও যেতে পারবে সিবিআই।" তবে ওএমআরের তথ্য না পাওয়া গেলে ২০১৪ সালের পরীক্ষা বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মান্থা। ওই টেটের ভিত্তিতে ৬০ হাজার নিয়োগ হয়েছিল।