স্টাফ রিপোর্টার: ২৬৩ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে প্রথম দফায় লোকসভা ভোট (2024 Lok Sabha Election) শুরু হয়েছিল বাংলায়। সংখ্যাটা বেড়েও চলেছে দফায় দফায়। কিন্তু চতুর্থ দফার ভোটে বাংলার জন্য যে পরিমাণ বাহিনী চাইতে চলেছে নির্বাচন কমিশন, তা চমকে দেওয়ার মতো! কমিশন সূত্রে খবর, চতুর্থ দফায় আট কেন্দ্রে ভোট নিতে রেকর্ড সংখ্যক ৭৫০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। বাংলায় প্রথম দফার ভোটে ২৬৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় বাহিনীর সেই সংখ্যা ৩৩৪ কোম্পানিতে দাঁড়াচ্ছে। ৭ মে তৃতীয় দফায়, চার কেন্দ্রের জন্য আরও প্রায় ৭৫ কোম্পানি বাহিনী আসার কথা জানিয়েছে কমিশন।
তবে বুধবার চতুর্থ দফার জন্য বিস্তর হিসাব নিকাশের পর দেখা যাচ্ছে, যে পরিমাণ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর থেকে দিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) জানানো হয়েছে, তাতে চোখ কপালে তুলেছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, দিল্লিকে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, চতুর্থ দফায় সুষ্ঠু ও শান্তিতে ভোট করতে হলে অন্তত ৬০ হাজার অর্থাৎ ৭৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সেনা (Central Force) মোতায়েন করতে হবে। তৃতীয় দফায় যেখানে ৪০৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়েই ভোট নির্বিঘ্নে করতে আত্মবিশ্বাসী কমিশন, সেখানে চতুর্থ দফায় এমন বিপুল সংখ্যক বাহিনী চাওয়া হচ্ছে কেন?
[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে কীভাবে চালাবেন এসি? টিপস দিলেন মমতা]
কমিশনের শীর্ষস্থানীয় এক সূত্রের কথায়, চতুর্থ দফায় যে আট কেন্দ্রে ভোট হবে, সেখানকার নিরাপত্তা (Security) সংক্রান্ত রিপোর্ট ও অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনী অশান্তির রেকর্ড নিয়ে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে আলোচনায় খতিয়ে দেখার পরই এই রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ মে চতুর্থ পর্বে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলার আটটি আসনে ভোট নেওয়া হবে। এগুলি হল কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল এবং বহরমপুর। এর মধ্যে বীরভূম ও বহরমপুরে অতীতে ভোটের সময় প্রতিবারই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সে হিসাবে এই পর্বে স্পর্শকাতর বুথের (Sensitive Booth)সংখ্যা অনেক বেশি।
[আরও পড়ুন: বহরমপুরে পাঠান গর্জন! কোন ফ্যাক্টরে অধীর গড়ে জিততে পারেন ইউসুফ?]
পাশাপাশি অতি সম্প্রতি রামনবমীর (Ram Navami) দিন মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর ও বেলডাঙায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা হাই কোর্টের নিজেদের পর্যবেক্ষণ, বহরমপুরে ভোট পিছিয়ে দেওয়া উচিত। বীরভূম ও আসানসোল শিল্পাঞ্চলে নির্বাচনের সময় সন্ত্রাসের একাধিক অতীত রেকর্ড আছে। সেই সব বিবেচনা করে এই পর্বে ৭৫০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে ভোট। এই পর্বে রায়গঞ্জের অন্তর্গত ইসলামপুরের দিকে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে।