দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নির্বাচনী প্রচারে চমক। তৃণমূলের মিছিল চলাকালীন প্রার্থীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়েই দলবদল করে ফেললেন সিপিএম নেতা! জয়নগরের কুলতলি এলাকার ঘটনায় সকলে হতবাক! যদিও ভোটের আগে দলের শক্তিবৃদ্ধিতে খুশি প্রার্থী প্রতিমা নস্কর-সহ সকলে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হয়ে সকলেই তৃণমূল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। এটাই বড় সাফল্য।
শনিবার জয়নগরের (Jaynagar) তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল প্রচার করছিলেন কুলতলির প্রত্যন্ত এলাকা চুপড়িঝোড়া পঞ্চায়েত এলাকায়। হুডখোলা জিপে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা, কর্মীরা। আচমকাই সেই প্রচার শোভাযাত্রায় যোগ দেন এলাকার সিপিএম (CPM) নেতা নাসিরুদ্দিন মণ্ডল। পঞ্চায়েতের ১৭০ নম্বর বুথের সিপিএম সদস্য নাসিরুদ্দিন। তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে যোগ দিয়ে দলের নেতাদের কাছে তিনি তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, নাসিরুদ্দিন সোজা উঠে যান প্রার্থীর হুড খোলা গাড়িতে। আর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজও করেন। প্রতিমা মণ্ডলের হাত (Pratima Mandal) থেকে সরাসরি ঘাসফুলের পতাকা তুলে নেন। জানান, তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।
[আরও পড়ুন: অস্ত্র মেরুকরণ! বারাকপুরের জনসভা থেকে ৫ ‘গ্যারান্টি’ দিলেন মোদি]
লোকভা ভোটে (2024 Lok Sabha Election) তৃণমূলের প্রচারে এমন একটি ঘটনায় সকলেই থ হয়ে যান। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আসলে বাম-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা, কর্মীরা কোনও কাজই করতে পারছেন না। ফলে ওই সব দলের নেতা, কর্মীদের মধ্যে ক্রমেই হতাশা দেখা দিচ্ছে। তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন তৃণমূলের উন্নয়নের কাজ। তাই নিজেদের এতদিনকার দল ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিচ্ছেন। সিপিএম নেতার এই দলবদলে কুলতলির সিপিএম নেতা উদয় মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, “আমাদের দলের প্রার্থীকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়ে ওই দলে যোগদান করেছিয়েছে। এটা তৃণমূলের নতুন কোনও বিষয় নয়। ওরা ২০১১ সালের পর থেকে সবসময় বিরোধীশূন্য করতে চেয়েছে। তাই যেখানে যা পঞ্চায়েত সমিতি ও বিরোধীদের যাঁরা রয়েছে তাঁদের ভাঙিয়ে নিয়ে দল শক্ত করতে চাইছে। ওদের পায়ের তলার মাটি নেই। আগামী দিনে হেরে যাবে। সেই জন্য এসব কাজ করছে।”