সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোগের কারণ খুঁজতে সব সরকারি হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু করেছে রাজ্য সরকার। কেন জ্বর জানতে হাসপাতালেই রক্ত পরীক্ষা হয়। অভিযোগ নয়, সেই রিপোর্ট বলছে মাঝ ডিসেম্বরেও মারমুখী ডেঙ্গু! রাজ্যে আক্রান্ত ৩১হাজার পার। স্বাভাবিকভাবেই আরও পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডা পড়েছে। দাপট কিন্তু কমেনি। তাই উদ্বেগও যায়নি।মাঝ ডিসেম্বরেও শেষ তিন সপ্তাহে রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১ হাজার ৫৩৬ জন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১ হাজার ৫৮। রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের রিপোর্ট আসে স্বাস্থ্যভবনে। তার মধ্যে সরকারি হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু পজিটিভের রিপোর্ট এসেছে ২৪ হাজার ৩০৮ জনের। বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাব থেকে ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট এসেছে ৬ হাজার ৭৫০ জনের।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ডেঙ্গু যে বাড়ছে রেখাচিত্রর মাধ্যমে তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যভবনের স্বাস্থ্যবিভাগ। জুলাইতে বাংলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৮৮। আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫১৬। সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ১ ৯৯, অক্টোবরে ৭ হাজার ৫১ জন। গত দুমাসের মধ্যে নভেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা কমে। ওই মাসে আক্রান্ত হন ৬ হাজার ৬৭৫ জন। ডিসেম্বরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৬৪০ জন। ডেঙ্গু মারমুখী হওয়ায় রোগ শনাক্তকরণে আরও বেশি রক্তপরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।