জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: অশান্ত বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ আশঙ্কা আরও বাড়ছে। অতি সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এলাকা থেকেও পাকড়াও হয়েছেন এক বাংলাদেশি। এই আবহে বড় পদক্ষেপ করল বনগাঁর সীমান্ত লাগোয়া ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। এলাকায় সিসিটিভিতে নজরদারি শুরু হল।
ভারত-বাংলাদেশের একেবারে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এই পঞ্চায়েতেও চাপা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। ফলে অনুপ্রবেশকারীরা তো বটেই জঙ্গিরা ঢুকে পড়ার আতঙ্কও এখন তাড়া করছে বাসিন্দাদের। পুলিশ-প্রশাসনও এলাকায় সতর্ক। বিভিন্ন জায়গায় টহলদারিও চালাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। সেই নজরদারি আরও বাড়াতে এই সিসিটিভি লাগানো হল বলে খবর। পেট্রাপোল এলাকার যশোর রোডের জয়ন্তীপুর বাজার, হরিদাসপুর বাজার-সহ একাধিক এলাকায় ৫০ টি ক্যামেরা বসানো হল। এই কাজে এখনও অবধি ছয় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন। এমন আবহে ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিবেশও বেশ কিছুটা বদলেছে। এই এলাকাতেও বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁর উপর জাল পাসপোর্ট ও অন্যান্য পরিচয়পত্রের চক্রের সন্ধান মিলেছে খোদ বনগাঁ এলাকাতেই। দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষদের মধ্যেও অপরিচিতদের প্রতি সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখলেই যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়, সে জন্য প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা করা হল। পুলিশ তাদের কাজ করছে। পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতও এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে নজরদারি বাড়াতে চায়। আগামী দিনে আরও সিসিটিভি লাগানো হতে পারে। সেই কথা জানাচ্ছেন বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ঘোষ। এই পদক্ষেপে খুশি এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী অখিল ঘোষ ও সন্তোষ ঘোষ। অনুপ্রবেশ ও জঙ্গি আতঙ্ক, জাল পাসপোর্টচক্র তাঁদেরও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।