রাজা দাস, বালুরঘাট: পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভালো ফলাফলের কোনও সুবিধাই পেল না দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরও চব্বিশের লোকসভা ভোটে (2024 Lok Sabha Election) বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রটি হারের নেপথ্যে দলের অন্তর্তদন্তে উঠে আসছে এমনই তথ্য। তৃণমূলের দখলে থাকা বালুরঘাট শহরের কোনও বুথেই লিড পেলেন না দলীয় প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। খোদ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অশোক মিত্রর ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ৬৮১ ভোটে। তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভা প্রতিটি ওয়ার্ডে ভোট তলানিতে চলে গিয়েছে। তা নিয়ে শুরু তুমুল চর্চা। তৃণমূলের তরফে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
বালুরঘাট (Balurghat) শহরে রয়েছে ২৫ টি ওয়ার্ড। যার মধ্যে ২৩ টি ওয়ার্ডই তৃণমূলের দখলে। কিন্তু এই পুরসভায় একটি ওয়ার্ডেও লিড পেলেন না তৃণমূল (TMC) প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। এখানে বিজেপির চেয়ে অন্তত ২২ হাজার ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের থেকে বিজেপির (BJP) মার্জিন ১৭৫২। আবার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রর থেকে ৬৮১ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: বিচারপতি সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন, মামলা ফিরল প্রধান বিচারপতির কাছে]
এই শহরে এমন ভরাডুবি নিয়ে দলের প্রশ্নের মুখে তৃণমূল কাউন্সিলর এবং টাউন নেতৃত্ব। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর শহরে ১২ হাজার ৮৪০ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। সেখানে ৭ নম্বর অর্থাৎ খোদ নিজের ওয়ার্ডেই পিছিয়ে বিপ্লব। সেখানকার ৫৯ নম্বর বুথে তৃণমূল বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে ১০৩ টি ভোটে। খোদ প্রার্থীর ওয়ার্ডে এমন পরিস্থিতিকে অন্তর্ঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল জানান, ''এমনটা তো আশা করিনি। এনিয়ে বিশ্লেষণ ও আভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে।'' উল্লেখ্য ভোটগণনার দিন রাত পর্যন্ত বালুরঘাটের ফলাফল নিয়ে কিছু বোঝা যাচ্ছিল না। রাতে ফল প্রকাশের পরও পুনর্গণনার দাবি তুলেছিলেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।