সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরএসএসের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একপ্রকার গোপন সমঝোতার অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছে বিরোধী দলগুলির অন্দরে। বাম, কংগ্রেসের নেতারা মাঝমধ্যেই সেই অভিযোগে সরব হন। আরএসএস সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধাশীলতাও তার একটা কারণ ছিল বটে। তবে এবার নির্বাচনী প্রচারে মেদিনীপুরের মাটি থেকে আরএসএস নিয়ে সম্পূর্ণ উলটো সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায়। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে মেদিনীপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে নির্বাচনী সভা করতে গিয়ে সংঘকে ভোগী বলে আক্রমণ করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা টাকা ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ তুললেন।
মেদিনীপুরের (Medinipur) নির্বাচনী লড়াই তৃণমূলের কাছে বরাবরই বিশেষ গুরুত্বের। বিশেষত গত লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকা বিজেপির (BJP) দখলে চলে যাওয়ার পর থেকে তা পুনরুদ্ধারে চেষ্টার ত্রুটি নেই শাসক শিবিরের। একুশের বিধানসভা ভোটে কিছুটা ঘাসফুল শিবিরে ফেরত এলেও সামগ্রিকভাবে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রটিতে জয় পাওয়া টার্গেট তৃণমূলের। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok Sabha Election) প্রার্থী জুন মালিয়া (June Malia), যিনি মেদিনীপুরের বিধায়ক। আর বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই জুন নিজের এলাকায় একাধিক কাজ করে এলাকাবাসীর সুনাম কুড়িয়েছেন। সেই কারণেই তাঁর উপর ভরসা করে লোকসভা ভোট জিততে চায় শাসকদল।
[আরও পড়ুন: মহিলা অসন্তোষের অভিযোগে প্রচারে যেতে ‘বাধা’! কল্যাণ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন কাঞ্চন]
বৃহস্পতিবার সেই জুন মালিয়ার সমর্থনেই দাঁতনে প্রচার সেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখান থেকে আরএসএস-কে আক্রমণ করে তাঁর বক্তব্য, ''কেশিয়াড়িতে আরএসএসের একটা বড় স্কুল আছে। শুনেছি, ওরা অনেক সম্পত্তি করেছে। আমি আগে ভাবতাম, আরএসএস (RSS) মানে ত্যাগী। কিন্তু এখন ওরা ভোগ করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ত্যাগধর্ম ভুলে ভোগী হয়ে উঠেছে। আর তার জন্যই বিজেপি এত বাড়াবাড়ি করতে পারছে।'' এর পর আবার মমতার আরও অভিযোগ, ''ভোটের আগে আরএসএস গ্রামে গ্রামে গিয়ে একটু একটু টাকা দেবে। টাকা নেবেন কিনা, আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু ভোটটা দেবেন তৃণমূলকে। টাকা দিয়ে ওরা ভোট কিনতে চাইবে। কিন্তু টাকা দিয়ে আর কদিন চলবে? জুন মাটির মেয়ে। ওকে আপনারা ভোটে জেতালে কাজ করবে। ও কিন্তু মেদিনীপুর থেকে বিধায়ক হয়ে পালিয়ে যায়নি। ওখানে পড়ে থেকে কাজ করেছে।''