সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ভোটগ্রহণ পর্ব শেষের পরেও বঙ্গে অব্যাহত অশান্তি(Post Poll Violence)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, কুলতলিতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ। নিউটাউনেও আক্রান্ত শাসক শিবির। হামলার ঘটনায় কোথাও কাঠগড়ায় আইএসএফ। আবার কোথাও অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ, বিজেপি সকলেই।
ভাঙড়ে(Bhangar) বোমাবাজি নতুন নয়। রবিবার রাতে উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরআইটে নতুন করে বোমাবাজি শুরু হয়। প্রায় গোটা রাতভরই চলে অশান্তি। দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। কাঠগড়ায় আইএসএফ। যদিও আইএসএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাইক বাহিনী দিয়ে এলাকায় অশান্তির অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের দাবি, তৃণমূলের মদতে এলাকায় অন্তত ৩০০-৪০০ জনের বাইক বাহিনী ঢুকেছে। তারাই বোমাবাজি করেছে। বোমাবাজি করে ফেরার পথে পড়ে গিয়ে দুই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন বলেই দাবি আইএসএফের।
[আরও পড়ুন: সমস্ত এক্সিট পোলের উলটো আভাস, AI-এর সমীক্ষায় ব্যাকফুটে বিজেপি!]
কুলতলিতেও(Kultali) মিলেছে অশান্তির খবর। বাড়়িতে ঢুকে তৃণমূলের মহিলা সমর্থককে মারধরের অভিযোগ। মাকে মারধর করতে দেখে বাধা দিতে যান তাঁর মেয়ে। অভিযোগ, দুজনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁরা দুজনেই কুলতলির জামতলার ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় গেরুয়া শিবির। কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অবশ্য পদ্মশিবির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পারিবারিক অশান্তিকে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।
নিউটাউনে আবার দলীয় কার্যালয়ের সামনেই আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। অনুপ বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি নিউটাউনের শুলংগুঁড়ির দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে এলাকারই বেশ কয়েকজন তাঁকে মারধর করে বলেই অভিযোগ। হামলাকারীরা এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। এছাড়া কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তেও মিলেছে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর। এদিকে, এই ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মাথায় রেখে রাজ্যে বেড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার মেয়াদ। ৬ জুনের পরিবর্তে ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।