সুমন করাতি, হুগলি: প্রাক্তন স্বামী তথা একসময়ের সুপারস্টার সিদ্ধান্ত মহাপাত্র বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন টলিউডের ‘দিদি নং ১’ তথা হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। তার জন্য ধন্যবাদ জানালেও সিদ্ধান্তর সাফ বার্তা, রচনা নয়, আগে তিনি হুগলি (Hooghly) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কেই জয়ের শুভেচ্ছা জানাতে চান। যদিও সিদ্ধান্ত মহাপাত্র নিজে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও খবর নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সুপারস্টার এবং দীর্ঘদিনের রাজনীতিককে চব্বিশের লোকসভা ভোটে টিকিট দেবে বিজেপি।
ওড়িয়া ছবির জনপ্রিয় নায়ক হলেও সিদ্ধান্তর রাজনৈতিক কেরিয়ার অনেকদিনের। ২০০৯ সালে বিজু জনতা দলের (BJD) প্রার্থী হয়ে ওড়িশার ব্রহ্মপুর লোকসভা আসন থেকে ভোটে লড়েন। জয়ীও হন। ২০১৪ সালেও ওই আসন থেকে ভোটে লড়ে দ্বিতীয়বার সাংসদ হন। ২০১৯ সালে অবশ্য আর টিকিট পাননি। বৃহস্পতিবার তিনিই যোগ দিলেন বিজেপিতে। শোনা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok Sabha Election) তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে। তবে কোন আসন থেকে লড়তে পারেন তিনি, সে বিষয়ে গেরুয়া শিবিরের কারও কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ভগবানগোলা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদকন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম!]
এনিয়ে শুক্রবার হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করাকালীন তাঁকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। প্রাক্তন স্বামীর বিজেপিতে যোগদান ও প্রার্থী হওয়ার জল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ”আমার অনেক শুভেচ্ছা তাঁকে।” তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন আর তাঁর প্রাক্তন স্বামী বিজেপিতেই যোগ দেওয়ায় রচনা আরও বলেন, ”আমি দিদির সঙ্গে আছি, দিদির পাশে আছি। পশ্চিমবঙ্গের যাতে উন্নতি হয়, আমি তার জন্য লড়াই করছি। এখন আমি হুগলিবাসীর কথা বলব। এখন আমি হুগলিতে এসেছি, তাই হুগলির কথাই বলব। হুগলির উন্নয়ন করব। তার পর কে কোথায় যাচ্ছে, কে কোথায় যোগদান করছে, কে কী বলে বেড়াচ্ছে, এত ভাবার আর বলার সময় নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘ফিল্মি কেরিয়ার ব্যর্থ, তাই রাজনীতিতে আক্ষেপ মেটাচ্ছে’, হিরণকে তুলোধোনা দেবের!]
এদিন প্রথমে মহেশপুর গ্রামে হুডখোলা গাড়িতে জনসংযোগ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর আমদাবাদ গ্রামে কালীমন্দিরে পুজো দেন। শংকরবাটি জারুরা অ্যারেঙ্গা হয়ে দোগাছিয়া পর্যন্ত চলে তাঁর প্রচার। পথে সাধারণ মানুষ তারকা প্রার্থীকে দেখার জন্য ভিড় করেন। কখনো হাত মিলিয়ে, কখনো হাত জোর করে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন রচনা।